Bangladesh

Dhaka cafe attack marks fourth anniversary

Dhaka cafe attack marks fourth anniversary

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Jul 2020, 07:30 am
ঢাকা, জুলাই ১ : রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার চার বছরপূর্তি আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হন । তাদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। জঙ্গিদের গুলি ও বোমায় পুলিশের অনেকে আহত হন ।

পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের উদ্ধার অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর একজন পাচক নিহত হন। এই অভিযানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মি দশা। রেস্তোরাঁর আটক আরেক কর্মী পরে হাসপাতালে মারা যান।


ইতিহাসের ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলায় ইতালির ৯ জন, জাপানের সাত জন, ভারতীয় একজন ও বাংলাদেশি তিন জন নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করা হয়।


হামলার চার বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ বুধবার সকাল থেকে নিহতদের স্বজনরা এবং করোনা দুর্যোগের মধ্যে সীমিত পরিসারে শিডিউল মেনে জাপান ও ইতালিসহ বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন বলে জানা গেছে।


জঙ্গিরা ২০১৬ সালের ১লা জুলাই সন্ধ্যারাতে হঠাৎ করে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ঢুকে বিদেশি নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোলাগুলিতে আহত হন বনানী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। রাতেই হাসপাতালে মারা যান বনানী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের স্পিøন্টারের আঘাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি উত্তর) রবিউল করিম নিহত হন।


ঘটনার পরের দিন সকালে সেনা সদস্যরা ‘থান্ডারবোল্ট’ নামে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে হলি আর্টিজানের প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশিসহ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


কমান্ডো অভিযানে জঙ্গি হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া পাঁচ তরুণের সবাই নিহত হন। নিহতরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাজ ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।


দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মামলার ৮ আসামির ৭ জনকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।