Bangladesh

Dhaka City Polls: CEC won't quit
Amirul Momenin

Dhaka City Polls: CEC won't quit

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 02 Feb 2020, 06:06 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২ : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা তার পদত্যাগ প্রশ্নে সরাসরি ‘না’ বলেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিইসির পদত্যাগ দাবি করে।

এছাড়া আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির পক্ষ থেকেও নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করবেন কি-না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সিইসির দাবি, ‘নির্বাচন তো ভালো হয়েছে, সুষ্ঠু হয়েছে। যারা ভোট দিতে গিয়েছেন, তারা সবাই ভোট দিয়েছেন। কেউ বলেননি, ভোট দিতে গিয়েও পারেননি। এখানে তো পদত্যাগের কোনো প্রশ্ন আসে না।’


কত শতাংশ ভোট পড়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তা তো বলা যাচ্ছে না। তবে ৩০ শতাংশের নিচে বলে মনে হয় না।’ শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রধান নির্বাচন কমিশনরা নূরুল হুদা।


এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিইসির সঙ্গে দেখা করে তার পদত্যাগ দাবি করেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘বের করে দেয়ার ব্যাপারে কোনো এজেন্ট অভিযোগ করেননি। আমি যেখানে ভোট দিতে গিয়েছি, সেখানে সব দলের এজেন্ট ছিলেন। আর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দায়িত্ব তাদের। ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হলে অভিযোগ করতে হবে।


শনিবার বিকেলে অর্থাৎ ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।


এর আগে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিজে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি নূরুল হুদা। নির্বাচনের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় রাজধানীর চারদিকে গোলাগুলি, ককটেলসহ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে সিইসি বলেন, এমন ভোট আমরা চাইনি। এখনও চাই না।