Bangladesh
Dhaka: Cylinder blast leaves five dead
বেলুন ফুলানোর সময় এটির বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা ৪ শিশুসহ এক নারী মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েয়ে। নিহত শিশুদের বয়স ৮ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। নারীর বয়স ৩৫ বছর। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
বিস্ফোরণে দগ্ধ-আহত ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েয়ে। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, একজন নারী এবং ১২টি শিশু।
দগ্ধ ও আহতরা হলেন- জুয়েল (২৫), সোহেল (২৬), জান্নাতী (২৫), তার বোন তানিয়া (৮), ভাই বায়েজিদ (৫), জামেলা (৭), অজ্ঞাত পরিচয় শিশু (৫) (তার অবস্থা আশঙ্কাজনক), মীম (৮), অজুফা (৯), মোস্তাকিম (৮), মোরসালিনা (৯), নিহাদ (৮), অর্নব ওরফে রাকিব (১০), জনি (১০) ও সিয়াম (১১)।
বুধবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার বলেন, রূপনগরের ১১ নম্বর রোডে আগুন লেগেয়ে শুনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পাঠানো হয়। তারা গিয়ে আহত ও দগ্ধদের উদ্ধার করেন।
গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ। তিনি বলেন, এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের কারোরই এটি ব্যবহারের বৈধ অনুমতি নেই।
বিস্ফোরক অধিদফতর থেকেও তারা অনুমতি নেয় না। শুধু তাই নয়, তাদের তাত্ত্বিক বা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো ধরনের জ্ঞান না থাকলেও, তারা নিজেরাই গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস প্রবেশ করায়। এগুলোতে কি কি উপাদান তারা ব্যবহার করে তাও কেউ খতিয়ে দেখে না।
বছরের পর বছর ধরে তারা ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োগ করে গ্যাস তৈরি ও বেলুন ফুলানোর কাজে তা ব্যবহার করে। এসব সিলিন্ডারের ওজন ৬০-৭০ কেজি। ভেতরে গ্যাস ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখায় ভেতরে চাপ তৈরি হয়। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এ বিষয়টিতে নজর দেয়া এখন সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ।