Bangladesh
Dhaka Fire: Chemical found
চারতলা ভনটির পুরোটাই পুড়ে ছাই। দ্বিতীয় তলায় ছিল বিভিন্ন কেমিক্যাল আর প্লাস্টিকের দানার গোডাউন। তবে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতার কারণে আগুন বেজমেন্ট পর্যন্ত ছড়ায়নি। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, এটি পার্কিংয়ের জায়গা তবে এখানে বিভিন্ন লিকুইড কেমিক্যালে ভর্তি ড্রাম ও বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। যদি এখানে কোনোভাবে আগুন ছড়িয়ে যেত তাহলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হতো।
আব্দুর রাজ্জাক সাই নামে স্থানীয় একজন ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা বাইরে থেকে দেখতাম ভবনে টেইলার্স, ফার্মেসি, হোটেল আর ডেকোরেটরের দোকান। মাঝে মাঝে কিছু কেমিক্যাল ভেতরে নিতে দেখতাম। কিন্তু বেজমেন্টের অবস্থা যে এই তা কখনো ভাবতে পারিনি।’ প্রায়ই কনটেইনার ভর্তি কেমিক্যাল এনে গোডাউনে তোলা হতো বলে জানান তিনি। তবে সেই গোডাউনের মালিকের বিস্তারিত পরিচয় তুলে ধরতে পারেননি তারা।
বাংলাদেশ বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক শামসুল আলম জানান, নিমতলী অগ্নিকা-ের পর থেকে ওই এলাকায় কেমিক্যাল ব্যবসার জন্য একটি লাইসেন্সও দেয়া হয়নি। ওই এলাকায় বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্সধারী কোনো গুদামও নেই। যে ভবনটিতে আগুন লেগেছিল সেটিতেও রাসায়নিক দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ রাখার অনুমতি ছিল না। বেজমেন্টে কী কী ধরনের কেমিক্যাল ছিল তা তদন্ত করে দেখছে বিস্ফোরক অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা।
উল্লেখ্য, বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ৬৭ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১ জন। এদের মধ্যে দুইজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র-আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।