Bangladesh
Dhaka,Helsinki to work together to fight against climate change
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ১১ লাখ রোহিঙ্গা মানুষকে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় সমর্থন কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক (সচিব) মো. নজরুল ইসলাম হেলসিঙ্কিতে শুক্রবার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে যাবে। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি মোকাবেলায় তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জলবায়ূু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় নিজের সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্স ফান্ড গঠনের কথা উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টকে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশের উপকূল বরাবর সবুজ বেল্ট নির্মাণ এবং স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন, ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব মোকাবেলার বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত করেন।
জলবায়ুু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উত্থান ঘটলে বাংলাদেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জেনে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে জলোচ্ছ্বাস থেকে ক্ষতি হ্রাস করার জন্য বৈশ্বিক সতর্কবাণী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উপর জোর দেন।
রোহিঙ্গা বিষয়ে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং রোহিঙ্গা জনগণের বিপুল সংখ্যক লোককে আশ্রয় প্রদান করা খুব কঠিন। অপরদিকে মিয়ানমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পরও রোহিঙ্গা জনগণকে ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি না রাখায় প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মায়ানমার কর্তৃপক্ষ ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে জোরপূর্বক নির্বাসনের পরেও মায়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়নি। তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- বাংলাদেশ বন্ধুত্বের এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে। বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সাথে খুব ভাল সম্পর্ক বজায় রাখে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য তিনি ফিনল্যান্ডের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিনল্যান্ড স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ও পরে বাংলাদেশকে যে পরিমাণ সহায়তা ও সহযোগিতা করেছিল, তা আমরা সবসময় মূল্যবান বলে মনে করি।’ ।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা তার পরিবারের বেশীরভাগ সদস্যের সাথে জাতির পিতার হত্যার পর নিজের সংগ্রাম করার কথা উল্লেখ করেন।