Bangladesh

Didi not ready for import
Amirul Momenin

Didi not ready for import

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Jun 2020, 11:35 pm
ঢাকা, জুন ৩০ : করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।

সম্প্রতি স্থলবন্দরগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ভারত থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে। প্রতিদিন আসছে শত শত ট্রাক। তবে বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ বন্দর দিয়ে ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না ভারত। ফলে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও ব্যাহত হচ্ছে রফতানি। বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রফতানিকারকরা।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি-রফতানির অনুমতি দিলেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের একক সিদ্ধান্তের কারণে রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হচ্ছে না।


করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর জুনের প্রথম সপ্তাহে স্থলবন্দরগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বন্দরে আমদানি হলেও রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তারা রফতানি করছে কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পণ্য রফতানির অনুমতি দিচ্ছে না।


জানা গেছে, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে গত ২৩ মার্চ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গত ২৪ এপ্রিল আমদানি-রফতানি চালুর নির্দেশনা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি না থাকায় দীর্ঘদিন সড়কপথে বন্ধ ছিল বাণিজ্য। এখন বন্দর খুলে দেয়া হয়েছে, তবে আমদানি হলেও বন্ধ রয়েছে রফতানি কার্যক্রম।

এ নিয়ে ব্যবসায়ী, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে বারবার বলা হলেও কোনো সমাধান আসছে না।


দুই দেশের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি-রফতানির অনুমতি দিলেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের একক সিদ্ধান্তের কারণে রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হচ্ছে না। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে ভারতের রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি না করলে এর সুরাহা হবে না।


রফতানিকারকরা বলছেন, তিন মাস ধরে রফতানি বন্ধ। পণ্যের রফতানি অর্ডার আসছে। কিন্তু পাঠানো যাচ্ছে না। রফতানির জন্য তৈরি করা কোটি কোটি টাকা মূল্যের পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।