Bangladesh
Doubt over old locker in Bangladesh city
এ সিন্দুকের ভিতরে কী আছে- সেটি এখন স্থানীয় মানুষের মাঝে ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। যে ভবনটি ভাঙা হচ্ছিল সেখানে একটি রেজিষ্ট্রি অফিস ছিল। ১৯২৬ সালে এ ভবনটিতে একটি পোস্ট অফিস স্থাপন করা হয়েছিল। পরে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হবার পরে সেখানে রেজিষ্ট্রি অফিস স্থাপন করা হয়।
১৯২৫ সালে স্থানীং ধনাঢ্য ব্যক্তি সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী এ বাড়ি নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। সেখানে পাশাপাশি কয়েকটি ভবন ছিল। একটি ভবনে চক্রবর্তী বসবাস করতেন এবং আরেকটি ভবনে ১৯২৬ সালে পোস্ট অফিস স্থাপন করা হয়েছিল। এমনটাই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দেশ ভাগের পর সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ভারতে চলে যান এবং আর কখনই সাতক্ষীরায় ফিরে আসেননি। জনশ্রুতি আছে, সুরেন্দ্র নাথ বেশ কয়ে বছর আগে কলকাতায় মারা যান । সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর কোনো উত্তরাধিকার না থাকায় তিনি একটি ট্রাস্ট গঠনন করে তার সম্পত্তি সেখানে দান করেন। সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় জমিদার সুরেন্দ্রনাথ নাথ চক্রবর্তীর প্রায় এক থেকে দেড় হাজার বিঘা সম্পত্তি ছিল বলে জানা যায়।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ বাড়ি সম্পর্কে তারা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে সিন্দুকটি প্রায় ১০০ বছরের পুরাতন বলে মনে হচ্ছে।
তবে সিন্দুকের ভেতরে কী আছে- সেটি এখনো জানা যায়নি। এটি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর তা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে দেয়া হবে। তারা সেটি খুলে দেখবেন।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, সিন্দুকের ভেতরে মূল্যবান কিছু থাকার সম্ভাবনা নেই। সিন্দুকটিতে কোনো তালা নেই। কিন্তু সেটি এত পুরনো এবং জং ধরেছে সেটা আমাদের পক্ষে খোলা সম্ভব ছিল না। আমরা ধারণা করছি যেহেতু সিন্দুকে কোন তালা নেই সে জন্য এর ভেতরে মূল্যবান কিছু নেই। মূল্যবান কিছু থাকলে নিশ্চয়ই তালা দেয়া থাকত।