Bangladesh

Dr. Sabrina used influence to get work for husband Arif
আরিফ চৌধুরি ও ডা: সাবরিনা (ফাইল ছবি)।

Dr. Sabrina used influence to get work for husband Arif

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 18 Jul 2020, 01:39 am
Dr. Sabrina Arif used her influence to get government work for husband Ariful Chowdhury,. Taking advantage of it, the latter duped and embezzled a lot of money amid the raging Covid-19 crisis, through the JKG Healthcare facility.

শুক্রবার (১৭ জুলাই) সাবরিনাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এ সময় তেজগাঁও থানায় করা প্রতারণার মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। আদালত শুনানি শেষে দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসব কথা উল্লেখ করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘তিনদিনের রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সাবরিনাকে দফায় দফায় মামলার বিষয়ে বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি মামলা সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। যা যাচাই-বাছাই চলছে। সাবরিনা তার সহযোগীদের (যাদের অনেকে আসামি) নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের পজিটিভ ও নেগেটিভের জাল রিপোর্ট সরবরাহ করেছিলেন। নিরীহ লোকদের টাকা আত্মসাৎ এবং অবহেলার মাধ্যমে রোগের সংক্রমণ বিস্তারে সহায়তা করে আসছে সাবরিনা। সাবরিনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন সূত্রে প্রভাব খাটিয়ে স্বামী আরিফুল চৌধুরীর জেকেজি হেলথ কেয়ারকে বিভিন্ন সরকারি কাজের আদেশ পাইয়ে দিতেন। ফলশ্রুতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার বেপরোয়াভাবে সমাজে এ ক্ষতিসাধন করে এবং বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে সাক্ষ্য প্রমাণে পাওয়া যায়।’
যেভাবে সামনে এলো ডা. সাবরিনার নাম : ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হিরু তাদের জানায়- হিরু ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন। তিনি কোর্টেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন যে করোনার ভুয়া রিপোর্টের সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত।
এরপর জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার সিইওকে পুলিশকে জানায়, এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী।