Bangladesh

DU student rape: Main suspect arrested
Amirul Momenin

DU student rape: Main suspect arrested

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Jan 2020, 06:35 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ৯ : রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ধর্ষককে আটক করেছে র‌্যাব। তার নাম মজনু। আটক মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে জানা গেছে। র‌্যাব বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেছে সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। গাজীপুরের টঙ্গী থেকে আটক মজনুকে নিয়ে বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসে র‌্যাব। সেখানে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম। তিনি বলেন, মজনু মাদকাসক্ত। তার বাড়ি হাতিয়ায়। সে এর আগেও ওই একই এলাকায় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছেন।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যেদিন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে সারোয়ার বলেন, সেদিন মজনু অসুস্থতার কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে দেখেন ও তাকে ধর্ষণ করার জন্য টার্গেট করেন।

কয়েক বছর আগে মজনুর বিয়ে হয়েছিল ও তার স্ত্রী মারা গেছেন বলেও জানিয়েছে র‌্যাব। পেশায় হকার মজনু চুরি-ছিনতাইয়ের সাথেও জড়িত।


র‌্যাব জানানয়, ওই ছাত্রী তার ধর্ষক’কে শনাক্ত করে বলেছেন, ‘আমি পৃথিবীর সব চেহারা ভুলে গেলেও এই চেহারা কখনো ভুলবো না। গ্রেফতার অভিযুক্ত মজনুও স্বীকারোক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনাটি তিনি একাই ঘটিয়েছেন’।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে মজনুকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার বক্তব্য তুলে ধরেন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মজনু নিয়মিত মাদকসেবী, সে মাদকাসক্ত। এ কারণে সেদিন ওই মেয়েকে দেখে তার মধ্যে পৈশাচিক শক্তি চলে আসে। তাই মেয়েটি প্রতিরোধ করতে পারেনি। সবপক্ষের বক্তব্যই নিশ্চিত করেছে যে, মজনুই ধর্ষক।

সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, প্রথমে আমরা মেয়েটির খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি। তদন্তে আমরা দেখতে পাই মোবাইলটি খায়রুল ইসলামের নামে ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয় র‌্যাবে। পাশাপাশি মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, খায়রুল একজন রিকশাচালক। অরুণা বিশ্বাস নামে তার একজন পরিচিত নারী তাকে ডিসপ্লে ঠিক করার জন্য মোবাইলটি দেন। সেই সূত্রে অরুণাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে অরুণা জানান, মজনু তার কাছে ডিসপ্লে ভাঙা একটি মোবাইল বিক্রি করে।

সেটি খায়রুলকে মেরামত করার জন্য দেন তিনি।