Bangladesh

রোহিঙ্গা সমস্যাঃ মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ সরকার, নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা

রোহিঙ্গা সমস্যাঃ মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ সরকার, নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা

| | 14 Sep 2017, 11:17 am
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৪ঃ এক নতুন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা এর সরকার।

মিয়ানমার থেকে বহু মানুষ এই দেশের পালিয়ে আসছেন।

 

একদিকে বাড়ছে কক্সবাজারে এই মানুষদের ভিড়।

 

অন্যদিকে, মিয়ানমারকে বার বার এই মানুষদের ফিরিয়ে নিতে আহ্বান জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

ফল হচ্ছে না কিছুই।

 

তবে, এই পরিস্থিত্তে, বাংলাদেশ আবার একবার দেখিয়ে দিয়েছেন যে সমস্যায় পরলে, তা যে দেশের  মানুষই হন, তাদের পাশে আছে বাংলা।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এই বিষয়টি মোকাবিলা করবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

হাসিনা মঙ্গলবার আরেকবার মিয়ানমারকে এই দেশে পালিয়ে আসা নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

 

উনি বলেন যে রোহিঙ্গারা এই দেশে নিজেদের ঘর বাড়ি হারিয়ে এসেছেন তারা 'সাময়িক আশ্রয়' পাবেন।

 

"স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। ঘরবাড়ি হারিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এখানে  এসেছেন, তাঁরা সাময়িক আশ্রয় পাবেন," হাসিনা বলেন।

 

তবে, প্রধানমন্ত্রী তাদের জানিয়ে দেন দেশে ফিরতে হবে।

 

"তাঁদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে," হাসিনা বলেন।

 

"আপনারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে," প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই মানুষদের উদ্দেশ্যে।

 

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে আজ এই মানুষদের অবস্থা দেখতে গেছিলেন হাসিনা।

 

সেই সময় এই কথাগুলি উনি বলেছেন।

 

" ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা আপনাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা আপনাদের পাশে থাকব," হাসিনা বলেন।

 

হাসিনা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করেছেন।

 


এই গেল মানবিকতার দিক।অন্যদিকে, মিয়ানমার এই মানুষদের যাতে সম্মান দেন সেই পদক্ষেপ ও নিচ্ছে হাসিনা সরকার।

 

 

হাসিনা সেপ্টেম্বর ৭ তারিখে দেশের মানুষকে বলেন যে মিয়ানমার থেকে এই দেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য সেই দেশকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

 


প্রসঙ্গত, তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এই দেশে এসেছিলেন রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে।

 


হাসিনা নিজের বক্তব্যে বলেছেনঃ "এই যে একেকটা ঘটনা ঘটছে, আর মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয়ের আশায় ছুটে আসছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি তাদের সহযোগিতা করতে।"

 

"সাথে সাথে আমরা মিয়ানমার সরকারকেও চাপ দিচ্ছি," লোক ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন।

 

হাসিনা বলেন বাংলাদেশ চায় যে মিয়ানমার যেন নিজের দেশের মানুষদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

 

জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আছেন।

 

বাংলাদেশ বহুবার মিয়ানমার সরকারকে এই মানুষদের ফিরিয়ে নিতে আহ্বান করলেও তাতে সারা দেয়নি।


রাখাইনে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বহু  রোহিঙ্গা মুসলিমেরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

 

তবে, এই সমস্যা মেটানোর জন্য যে লড়াইয়ে যে হাসিনা আরও একবার নিজের নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখিয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওনার সরকারকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সমালোচনা মুখর তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

 

আনু মুহাম্মদ ফেসবুকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেনঃ "রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখন সঠিক অবস্থান নিয়েছেন বলে তাকে ধন্যবাদ জানাই।”

 


"আশা করি, তিনি দেশের ভেতরের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিষয়েও একই রকম সংবেদনশীল ভূমিকা গ্রহণ করবেন, নানা বাহিনীর গুম-খুন-আটক বাণিজ্য বন্ধ করবেন এবং দেশকে রক্ষা করতে রামপালসহ সুন্দরবনবিনাশী সকল প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করবেন," উনি আরও বলেন।