Bangladesh

সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ' নীল নকশা' সৃষ্টি করবার অভিযোগ করল বিএনপি

সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ' নীল নকশা' সৃষ্টি করবার অভিযোগ করল বিএনপি

| | 15 Feb 2018, 05:43 am
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১৫ঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সরকারের দিকে নিশানা করে বলেছেন যে তাদের দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে 'নীল নকশা' সৃষ্টি করা হয়েছে।

উনি আরও অভিযোগ করেন যে এই নীল নকশা অনুযায়ী,  বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের যেভাবে মামলায় জড়ানো হচ্ছে তাতে মামলা চালাতেই তাদের সারা জীবন কেটে যাবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেনঃ "একটা ব্লু প্রিন্ট, একটা নীল নকশা, সেই নীল নকশা কী? বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করা।"

 

"দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি যেন আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা," উনি বলেন।

 

উনি আরও অভিযোগ করে বলেনঃ "আরো নীল নকশা হচ্ছে। নতুন আদালত সৃষ্টি করা হচ্ছে। একটা মামলাকে ভেঙে দুইটা করা হয়েছে। বিস্ফোরকের জন্য একটা মামলা, ভাংচুরের জন্য আরেকটা মামলা। অর্থাৎ বিরোধীদল যারা করবে তাদেরকে এই মামলা করতে করতেই সারাটা জীবন চলে যাবে, মৃত্যুবরণ করতে হবে তো এই মামলা ফেইস করতে করতে।”

 

সরকার বিএনপি এর অভিযোগ আগে নাকচ করে দিয়েছে।

 

আওয়ামী লীগ আজ পরিষ্কার করে দিয়েছে যে তারা কিছুতেই চাইবে না যে বিএনপি এর মত বড় দল ভেঙ্গে যাক।

 

সাংবাদিকদের আজ  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বলেছেনঃ " আমি চাই না বিএনপি ভাঙুক। বিএনপি একটা বড় দল। আমরা চাই না সেটা ভাঙুক। এই চেষ্টাও আমরা করব না।"


রাজধানীর রেডিসন হোটেলের সামনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে মন্ত্রীকে সাংবাদিকদেরা প্রশ্ন করলে উনি এই মন্তব্যটি করেন।

 

উনি বলেন বিএনপি দলের ভাঙ্গার জন্য দল নিজে দায়ী।

 

"বিএনপি ভাঙার জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী এবং বিএনপির সংকট আমরা ঘনীভূত করব না, আমরা এখানে ফ্যাক্ট না। বিএনপির সাংগঠনিক অভ্যন্তরীণ সংকট ঘনীভূত করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট," কাদের বলেন।

 

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে, ফেব্রুয়ারি ৮ দেশের এক আদালত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

 

এই রায়  দিয়েছেন পুরান বকশীবাজারে জনাকীর্ণ আদালতে খালেদার উপস্থিতিতে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান।

 

রায়কে ঘিরে দেশজুড়ে ছিল টান টান উত্তেজনা।

 

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনকে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়।

 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের এই মামলায় আদালত দিয়েছেন  দশ বছরের কারাদণ্ড।

 

বিচারক এই মামলায় প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।

 

ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় জিয়াকে।