Bangladesh
Eid: No place for commuters even on top of trains
শনিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ট্রেনটি কাছে আসতেই সবাই হতাশ ও হন। কারণ ট্রেনটির ভেতর ও ছাদে কোনো ফাঁকা জায়গা নেই। অধিকাংশ দরজা, জানালা বন্ধ। ফলে বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ যাত্রীর যাওয়া হলো না।
ট্রেনটি ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত, ‘ও ভাই, ও ভাই, দরজার খোলেন’- এমন ভাবে অনেকেই আহ্বান জানান। কিন্তু দরজা ভেতর থেকে কেউ দরাজা খোলে না। অনেকে দরজায় হাত চাপড়ান। তাতেও কাজ হয় না। অল্প যে কয়েকটি দরজা খোলা ছিল ট্রেনটির, তাতেও যাত্রীতে পূর্ণ। পা ফেলার জায়গাও নেই।
অনেকেই ভেতরে জায়গা না পেয়ে ট্রেনের ছাদে উঠার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ প্লাটফর্মের টিনের ছাদে উঠে ট্রেনের ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছাদেও জায়গা না থাকায় ব্যর্থ হয়ে নেমে পড়েন।
মো. রফিকুল, রেজাউল করিম, মো. মিরাজ ইসলাম ও মো. রুবেল- এমনই পাঁচজন। যারা ট্রেনটির ছাদে উঠতে স্টেশনের টিনের ছাদে উঠেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের ছাদে জায়গা ফাঁকা না পেয়ে নেমে আসেন। তাদের সবার বাড়িই নীলফামারীর ডোমারে। তারা পেশায় রডমিস্ত্রি।
তাদের মধ্যে রফিকুল বলেন, ‘এত কষ্ট করে চড়নু, বসার জায়গা পাইলাম না।’ উত্তরবঙ্গগামী সবগুলো ট্রেনই ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের ট্রেনযাত্রীরা। তাই উত্তরবঙ্গগামী কোনো ট্রেন আসলে তাতে প্রচ- ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে অনেকের ঈদে বাড়ি ফেরা।