Bangladesh
Eid travel: 27 people lost lives
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় গত ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত দেশের ১৮টি জাতীয় দৈনিক, ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক, ১০টি অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ এবং জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি ব্রি. জেনারেল (অব.) জি এম কামরুল ইসলাম। এ সময় সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুদ্দীন চৌধুরীসহ সংগঠনটির আরও কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ২১২টি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দেশের সড়ক, মহাসড়কে ১৮৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ২৪৭ জন, আহত হয়েছেন আরও ৬৬৪ জন। এর মধ্যে সড়ক ও মহাসড়কের দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত, ৬৫২ জন আহত এবং ৩৭৫ জন পঙ্গু হয়েছেন।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এরমধ্যে গাড়িচাপার ঘটনা ছিল ৫১টি, মুখোমুখি সংঘর্ষ ৮১টি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৯টি এবং অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৪টি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয় এসব দুর্ঘটনায় ৬৩ট ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ, ১৯টি কার-মাইক্রোবাস, ৩০টি নছিমন-করিমন, ভটভটি-ইজিবাইক, অটোরিকশা, ৬৪টি মটরসাইকেল এবং ২৬টি অন্যান্য যানবাহন জড়িত ছিল।
এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়াও নৌপথের ৫ দুর্ঘটনায় চার ব্যক্তি নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। আর ট্রেনে কাটা পড়ে পূর্বাঞ্চলে ১৩ জন এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৯ জনসহ মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদকেন্দ্রিক যাত্রীর চাপ, চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, বেশি ভাড়া আদায়, অদক্ষ চালকের হাতে দৈনিক চুক্তিতে যানবাহন ভাড়া দেয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যাত্রী বহন, মহাসড়কে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নছিমন-করিমন, মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, বিরতিহীন/বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো, যাত্রীদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা ইত্যাদি এসব দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।