Bangladesh

Eminent Bangladeshi professor Mumtazuddin dies

Eminent Bangladeshi professor Mumtazuddin dies

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 03 Jun 2019, 08:47 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ৩ : প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা এবং ভাষা সৈনিক অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ আর নেই। রোববার বিকাল ৩টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নাল্লিহি.. রাজেউন)।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস এবং নাট্যকার লেখক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।


মমতাজউদদীন আহমদ এর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নাটক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মমতাজউদদীনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, ‘তার মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।


রতন সিদ্দিকী জানান, সোমবার সকাল দশটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এখান খেকে তাঁর মরদেহ চাপাইনবাবগঞ্জের ভোলার হাটে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে প্রয়াতের পিতার কবরের পাশে দাফন করা হবে। এর আগে রোববার গুলশান আজাদ মসজিদ এবং মিরপুরের রুপনগরে পৃথক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।


মমতাজউদদীন আহমেদ এ বছর ৮৫ বছরে পদার্পণ করেছিলেন। তিনি ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, দুই ছেলে, দুই ভাই এবং তিন বোন রেখে গেছেন।


তাঁর ভাগ্নে শাহরিয়ার মাহমুদ প্রিন্স বলেন , মৃত্যুর আগে মমতাজউদদীন আহমদ রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) রাখা হিেয়েছল। তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাঁর শরীর অক্সিজেন পাচ্ছিলনা। মস্তিস্কে পানি জমেছিল। সর্বশেষ গত মাসের ১৬ তারিখ তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে এপ্রিলের ২৬ তারিখ তাঁকে ভর্তি করা হলেও ১২ মে তিনি বাসায় ফেরেন।


তিনি ভারতের দিল্লী, জয়পুর এবং কলকাতায় নাট্যদলের নেতা হিসাবে ভ্রমণ ও নাট্য মঞ্চায়ন করেন। তার লেখা নাটক কি চাহ শঙ্খ চিল এবং রাজা অনুস্বরের পালা রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে।


ছাত্রাবস্থায়ও তিনি তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে অংশ নেন। রাজশাহীর ভাষা আন্দোলন কর্মী গোলাম আরিফ টিপুর সাথে তিনি রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন। তিনি রাজশাহী কলেজে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণেও ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে তিনি রাজনীতির কারণে কারাবরণ করেন।


তাঁর লেখা সর্বশেষ গ্রন্থ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘রক্ত যখন দিয়েছি’ এবং ‘আত্নজীবনীর’ দ্বিতীয় খন্ড এবছর প্রকাশিত হয়েছে।