Bangladesh
Energy drink sale banned
বাজারে বিক্রীত এনার্জি ড্রিংকে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ২৯ জুলাই বিএসটিআইয়ের সভায় ‘এনার্জি ড্রিংক’ শিরোনামে জাতীয় মান প্রণয়ন না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং কার্বোনেটেড বেভারেজ ব্যতীত ‘এনার্জি ড্রিংক’ বা অন্য কোনো নামে পণ্য উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতের কোনো সুযোগ নেই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসটিআইয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (সাবেক) আইএফএসটি, বিসিএসআইআর ও সফট ড্রিংক অ্যান্ড বেভারেজ শাখা কমিটির সভাপতি ড. মো. জহুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সূত্র জানায়, বাজারে বিক্রীত সফট ড্রিংকের ক্যাফেইনের মাত্রা প্রতি কেজিতে ১৪৫ এমজি থাকলেও এনার্জি ড্রিংকে এ মাত্রা প্রতি কেজিতে ৩২০ এমজির বেশি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকের নামে নেশাজাতীয় পানীয় বন্ধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, রাজধানীসহ সারাদেশে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইনমিশ্রিত বিভিন্ন ধরনের এনার্জি ড্রিংক অবাধে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে সাতটি কোম্পানির উৎপাদিত এনার্জি ড্রিংক সংগ্রহ করে রাজধানীর তিনটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ল্যাবরেটরির একাধিক নির্ভরযোগ্য দায়িত্বশীল সূত্রে জানায়, পরীক্ষায় সাতটি কোম্পানির সাতটি পানীয়তে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এর নিয়মানুসারে যে কোনো পানীয়তে ক্যাফেইনের মাত্রা ২০০ পর্যন্ত স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। কিন্তু দেশের তিন ল্যাবরেটরির পরীক্ষাতেই ওই সাতটি এনার্জি ড্রিংকে ক্যাফেইনের মাত্রা ৭০০ এর কাছাকাছি পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় সাতটি ড্রিংকসে তিনগুণের বেশি ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বেপরোয়া বাজারজাতকরণের নীতি ও সুকৌশলে নির্মিত বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব পানীয় পান করছে। গ্রাম-গঞ্জের ছোট টং দোকান ও হাট-বাজার থেকে শুরু করে শহরের বড় বড় শপিং মল ও ফুড কোর্টে অন্যান্য কোমল পানীয়ের চেয়ে অতিরিক্ত ক্যাফেইন মিশ্রিত এনার্জি ড্রিংক বিক্রি দিনদিন বাড়ছে। সম্প্রতি জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও এনার্জি ড্রিংক খাওয়ানোর নতুন ধারা চালু হয়েছে।