Bangladesh

Fake Employees leaving corrupt officials in panic, 2 arrested

Fake Employees leaving corrupt officials in panic, 2 arrested

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 03 Feb 2019, 08:21 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ৩: সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইলফোনে দুদকের কমিশনার, পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে তটস্থ রাখছে একটি অপরাধীচক্র।

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। আর এ টাকা লেনদেন হয়েছে কখনো বিকাশে কখনো নগদে।


গত ২৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয় থেকে র‌্যাব ডিজি বরাবর পত্রযোগে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফোন করে দুর্নীতির মামলা রুজু ও তদন্ত চলছে- মর্মে ভয় দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করা হয়। হয়রানি বন্ধ ও তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুদক ওই পত্রযোগে অনুরোধ করে র‌্যাবকে। র‌্যাব সদর দফতর বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য র‌্যাব-২-কে নির্দেশনা দেয়।


এরপর অনুসন্ধানের মাধ্যমে রাজধানীর হাজারীবাগের বউবাজার এলাকা হতে শুক্রবার রাতে আনিছুর রহমান ওরফে বাবুল (৩৬) ও বিকাশ এজেন্ট মো. ইয়াসিন তালুকদারকে (২৩) আটক করে র‌্যাব-২। এরপর তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। আটক বাবুলের কাছ থেকে ৩টি মোবাইলফোন ও ভুয়া রেজিস্ট্রিশনকৃত ১৪টি সিম এবং ইয়াসিনের কাছ থেকে ১২টি সিম ও ১৮টি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়।


শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, চক্রটি সক্রিয় ২০১৪ সাল থেকে। তবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরুর পর তাদের প্রতারণার কৌশল বদলে যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের পর প্রতারক চক্র নতুন কৌশলে নামে। তারা দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টার্গেট করে। টার্গেটকৃতদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক, ভূমি অফিস, স্বাস্থ্য অধিদফতর, পুলিশ, বিভিন্ন এনজিওসহ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী।


র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, প্রথমে চক্রটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিগ্রস্তদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়। এরপর সরকারি টেলিফোন ইনডেক্স থেকে মোবাইল কিংবা টেলিফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দেয়। বলে, ‘হ্যালো, আমি দুদকের পরিচালক বলছি, আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। সেটি আমি তদন্ত করছি। তদন্তের স্বার্থে আপনার সাক্ষাৎ প্রয়োজন।’


এরপর অনেকে তাদের ব্যক্তিগত নম্বর চেয়ে নিয়ে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। আবার অনেকে দেখা করে টাকা দেন। তবে দুর্নীতিগ্রস্ত নন এমন কর্মকর্তারা দুদককে বিষয়টি অভিযোগ করেন। এরপর বিষয়টি নজরে আসে।