Bangladesh

Fakhrul

Fakhrul

India Blooms News Service | @indiablooms | 02 May 2019, 03:49 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মে ২ : বগুড়া-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসনটি শূন্য হয়েছে।

 

এই আসনটিতে নতুন করে ভোটের উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাতে সংসদ অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এই ঘোষণা দেন।

 

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত পাঁচজন সংসদ সদস্য নানা নাটকীয়তার পর শপথ নিলেও দলটির মহাসচিব ফখরুল নেননি।

 

তিনি বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই তিনি শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। এটা তাদের ‘কৌশলেরই অংশ’। সেক্ষেত্রে ফখরুলের বিষয়ে কী হবে- এ প্রশ্নের জবাবে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেলন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শপথ না নিলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   

 

সংবিধানের ৬৭ (১) এর ‘ক’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিতে না পারলে ওই সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে। তবে এই ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্পিকার যথার্থ কারণে তা বাড়াতে পারবেন।

 

একাদশ সংসদের কার্যক্রম গত ২৯ জানুয়ারি শুরু হওয়ায় ৯০ দিনের সেই সময়সীমা সোমবার পেরিয়ে যায়। শেষ দিনে বিএনপির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেন, তার তিন দিন আগে নেন অন্যজন।

 

মঙ্গলবার এক সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন না।

 

রাতে সংসদের অধিবেশনে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ৯০ দিনের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিতে অসমর্থ হওয়ায় তার আসনটি শূন্য হয়েছে।

 

জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী তা সংসদকে জানাতে হয়; সেটাই জানান স্পিকার।

 

নানা নাটকীয়তার মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেওয়ার পর ফখরুল দুটি আসনে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন। নিজের জেলা ঠাকুরগাঁও-১ আসনে তিনি হারলেও বিজয়ী হন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার আসন বগুড়া-৬ এ।

 

৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পুননির্বাচনের দাবি তোলে। সেই সঙ্গে ঘোষণা দেয়, তাদের জোট থেকে বিজয়ীরা শপথ নেবেন না।