Bangladesh
Father dropped from bus, girl murdered in Bangladesh, 3 arrested
উল্লেখ্য, ৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ঢাকার কাছে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের মরাগাঙ এলাকা থেকে জরিনা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে বাবা আকবর আলীর (৭০) সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠেছিলেন জরিনা। বাসচালক সেখান থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর যাত্রী তোলার কথা বলে সাভারের হেমায়েতপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর আবার সেখান থেকে ফিরে আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক হয়ে আব্দুল্লাহপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
এভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকায় বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের সঙ্গে জরিনা বেগম ও তার বাবার বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে বাসটি আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি গেলে বাসের শ্রমিকরা বৃদ্ধ আকবর আলীকে পিটিয়ে দেহ তল্লাশি করে সঙ্গে থাকা ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে আশুলিয়া ব্রিজের নিচে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। পরে আকবর আলীর কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে জরিনার সন্ধানে নেমে মরাগাঙ এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলা হলে তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয় পুলিশ সদর দফতর। এরপর শনিবার সকালে তিনজনকে গ্রেফতারের কথা জানায় পিবিআই। তিনজনকে গ্রেফতারের পর পিবিআই সদর দফতরের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানায় পিবিআই।
মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে সাংসারিক কলহ হলেই ছুটে আসতেন শাশুড়ি জরিনা খাতুন। মেয়েকে নির্যাতন করায় জামাইকে শাসাতেন তিনি। শাসাতেন বেয়াইনকেও (মেয়ের শাশুড়িকেও)। এ নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল জামাই মো. নূর ইসলামের। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের অবনতির জন্য শাশুড়িকেই দায়ী করতেন তিনি। কিন্তু কিছু বলতে পারতেন না। নিজেদের সাংসারিক বিষয়ে নাক গলানোয় শাশুড়িকে সরানোর জন্য জামাই নূর ইসলাম অভিনব পরিকল্পনা করেন।
নূর ইসলামের মামা স্বপনের পরামর্শে শাশুড়িকে বাস থেকে ফেলে হত্যার জন্য ১০ হাজার টাকায় একটি বাসের চালক, হেলপার ও দু’জনকে ভাড়া করা হয়। পরিকল্পনামাফিক গণ ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাসে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর জরিনা বেগমের লাশ সড়কে ফেলে পালিয়ে যায় ভাড়াটে খুনিরা। পরে রাত ১১টার দিকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের মরাগাঙ এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।