Bangladesh
Father kills son in Bangladesh
সেজন্য নিজের ছেলেকেই হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
এরপর সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৭ এপ্রিল ভাড়াটে কিলারকে দিয়ে কিশোর ছেলে আউসারকে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যার পর ধানক্ষেতে ফেলে আসেন। এরপর নিজেই বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৯) তিনি।
উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন ওরফে হেলু ও আব্দুল জলিলকে ঘায়েল করা। তবে শেষমেষ সেই পরিকল্পনায় শত্রু নয়, ফেঁসেছেন নিজেই।
রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগ উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড্ডা থানা এলাকার পূর্ব পদরিয়ার একটি ধানক্ষেত থেকে গালে ও ঘাড়ে জখমসহ কিশোর আউসারের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় পিতা জাহিদের দায়ের করা হত্যা মামলা তদন্ত শুরু করেন বাড্ডা থানা পুলিশের এসআই শামসুল হক সরকার।
তদন্তকালীন প্রযুক্তিগত তথ্য ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যর ভিত্তিতে গত ২০ এপ্রিল সাতারকুল পদরদিয়ার রহমতউল্লাহ গার্মেন্টসের পাশের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় কিলার আব্দুল মজিদকে (২৭)।
জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে পিতার পরিকল্পনায় ছেলে খুনের রহস্য। শনিবার গ্রেফতার মজিদ ১৬৪ ধারায় আউসার হত্যায় জড়িত থাকার ব্যাপারে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে মজিদ জানান, প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন ওরফে হেলু ও আব্দুল জলিলের সঙ্গে শত্রুতা ছিল আউসারের বাবা জাহিদের। শত্রুদের ঘায়েল করতেই মজিদের সঙ্গে একাধিকবার পরিকল্পনা করেন জাহিদ।
পরিকল্পনা মোতাবেক ছেলেকে হত্যার জন্য ঘটনার দিন ছুরি কেনা হয়। আউসারকে ডেকে মজিদকে দিয়ে শ্বাসরোধ ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। আর দায় চাপানো হয় কথিত শত্রুদের উপর।
তবে সে পরিকল্পনা ধোপে টেকেনি। মজিদকে গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তির পর গতকালই গ্রেফতার করা হয় ঘাতক বাবা জাহিদ ওরফে জাহাঙ্গীরকে।
হত্যাকান্ডের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে দায় স্বীকার করেছে জাহিদ।