Bangladesh

Father's body to arrive in Bangladesh after one year

Father's body to arrive in Bangladesh after one year

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 20 Oct 2018, 04:15 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ২০ : অবশেষে রোববার (২১ অক্টোবর) আসছে বাংলাদেশের বন্ধু ইতালির নাগরিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাদার মারিনো রিগনের মরদেহ।

গত বছর ২০ অক্টোবর ইতালিতে তিনি মারা গেলেও সেখানে দাফন করা হয়নি। কারণ, মৃত্যুর আগে তিনি বাংলাদেশের মাটিতে শেষ শয়ানের ইচ্ছা প্রকাশ কওে গেছেন। ফাদার রিগনের ইচ্ছানুযায়ী, তার পরিবারের সদস্যরা উভয় দেশের সরকারের মাধ্যমে মরদেহ বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তবে অনুমতি পেলেও সব প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে ঠিক এক বছর। দীর্ঘ এ সময় রিগনের মরদেহ ইতালির একটি হিমঘরে রাখা ছিল।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রোববার ভোর ৫টার দিকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফাদার রিগনের মরদেহ ঢাকার পৌঁছাবে। এরপর তা নিয়ে যাওয়া হবে বাগেরহাট জেলার মংলায়। এখানেই তিনি তার জীবনের ৬০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। গড়ে তুলেছেন ২৭ টি প্রতিষ্ঠান। যা সবগুলোই বিদ্যালয় বা হসপাতাল। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ১৯৫৩ সালে একজন পাদ্রী হিসেবে তিনি সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে আসেন। থিতু হন বাগেরহাট জেলার হলদিয়া গ্রামে। তবে তার কর্মকান্ড ধর্মচর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমরণ লড়াই করে গেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশ নেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ফাদার মারিনো রিগন। সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে তাকে বাংলাদেশের বন্ধু উপাধি দিয়ে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় সরকার।


বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জানায়, ফাদার রিগনের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর পর হেলিকপ্টারে করে মংলায় আনা হবে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনে জন্য মরদেহ মংলা উপজেলা পরিষদ মাঠে রাখা হবে। সেখানে দুই ঘণ্টা রাখার পর ফাদার রিগনের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় এবং সেন্ট পলস হাসপাতালে নেয়া হবে মরদেহ। এরপর তাকে শেলাবুনিয়ার সেন্ট পলস গির্জার সামনে গার্ড অব অনার প্রদান করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।