Bangladesh
First round of Ejtema concludes
সকাল ১০টা ৪০মিনিট থেকে ১১টা ৭মিনিট পর্যন্ত ২৭ মিনিটের এই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. যোবায়ের।
যোবায়ের পন্থী অনুসারীদের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকে ঢাকা ও গাজীপুরের আশ-পাশের জেলা থেকে লাখ লাখ মুসল্লী ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসল্লিরা আকুতি জানান।
মোনাজাতে মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি বন্ধ করে সুন্নতের জিন্দেগী, ইমান, আমল, আখলাক, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, সংহতি, আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য কোরআন সুন্নাহর আলোকে প্রত্যেক মুসলমানকে নীতি আদর্শ মেনে চলার সক্ষমতা দানে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লী আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করেন। মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ’র সন্তুষ্টি লাভে আকুতি ব্যক্ত করেন। ধনী-গরিব, মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষে সর্বস্তরের লাখ লাখ মুসল্লী সবকিছু ভুলে দু’হাত তোলে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানান।
ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে প্রায় ২৫ লাখ মুসল্লীর অংশগ্রহণে আবেগঘন পরিবেশে রাহমানুর রাহিম আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা, আত্মশুদ্ধি, দুনিয়ার সব বালা মুসিবত, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, দেশ ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণ কামনায় দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে রহমু প্রার্থনা করেন।
বাদ ফজর থেকে উর্দুতে বয়ান করেন মাওলানা ওবায়েদ উল্লাহ খুরশিদ, বাংলায় তরমজা করেন মাওলানা আব্দুল মতিন। আখেরী মোনাজাতের আগে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা মো. ইব্রাহিম। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা যোবায়ের।
মোনাজতের সময় ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জায়গা না পেয়ে হাজার হাজার মুসল্লী ময়দানের পাশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, কামারপাড়া সড়কসহ আশ-পাশের অলি-গলি, ফুটওভারব্রিজ, বাসা-বাড়ি, কলকারখানা, মার্কেট ও যানবাহনের ছাদে, শহীদ আহসান উল্লাহ উড়াল সেতু, তুরাগ নদে নৌকায় অবস্থান নিয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
এবার তুরাগ তীরে একটানা ৪দিনব্যাপী ৫৪তম ইজতেমায় দু’টি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শনিবার আখেরি মোনাজাতসহ প্রথম দু’দিন ইজতেমা পরিচালনা করেন মাওলানা যোবায়ের অনুসারীরা। রোববার থেকে দু’দিন সা’দ অনুসারীরা ইজতেমা পরিচালনা করবেন। সোমবার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।