Bangladesh
Foraji, Nayan not arrested so far
এতে হতাশা ব্যক্ত করেছে সচেতন মহল। তবে পুলিশ বলছে হত্যার মূল হোতাদের ধরতে র্যাব ও পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। শিগগিরই দেশবাসীকে কাঙ্খিত খবরটি দিতে পারবেন তারা।
এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকা-ের মূলহোতা সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ও র্যাবের
একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ‘রিফাত ঘ্যুাকা-ে জড়িত আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা অজ্ঞাত এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ বাকি আসামিরা পুলিশের নজরদারিতে আছে জানিয়ে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, আমরা দেশবাসীকে খুব দ্রুতই প্রত্যাশিত একটি সংবাদ দিতে পারব।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রকাশ্যে নির্মম হত্যাকা-ের শিকার শাহ নেয়াজ রিফাত ফরাজির শ্বশুরবাড়িতে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অস্ত্রধারী চার পুলিশ সদস্যকে মিন্নির বাড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে মিন্নির চাচা মো. আবু সালেহ জানান, রিফাত শরীফ মারা যাওয়ার পর থেকেই মিন্নি ও তার পরিবারের সদস্যরা হুমকির সম্মুখীন হয়। এ কারণে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে মিন্নিদের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।