Bangladesh

Foreign secretary Masud sees Indian counterpart Shringla's visit as breakthrough
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন (ফাইল ছবি)।

Foreign secretary Masud sees Indian counterpart Shringla's visit as breakthrough

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 19 Aug 2020, 10:00 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৯ আগস্ট ২০২০ : হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার ঢাকা সফরকে একটা ব্রেকথ্রু হিসেবে দেখছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘করোনার সময় যেহেতু বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই কোনো দেশেরই। সেটার একটা ব্রেকথ্রু হিসেবে আমরা দেখছি শ্রিংলার এই ভিজিটটাকে। স্বয়ং মোদিজি এবং ফরেন মিনিস্টারের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই এখানে এসেছেন তিনি এবং করোনার সময় তারও প্রথম সফর এটি। উনি আমাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দিল্লিতে যাওয়ার জন্য। জয়েন কনসালট্যান্ট কমিটির মিটিং হবে, তার আগেই হয়তো আমি একবার যাব।’

বুধবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দুই দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে আমরা যেসব তথ্য দেখতে পেয়েছি সে বিষয়ে পরস্পরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি এবং সম্পর্ককে আরও বেগবান করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফেরার ব্যাপারে তিনি সহযোগিতা করবেন। তাবলিগ জামাতে যোগ দিতে কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে গিয়েছিলেন। তাদের একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে তারা ছাড়ছে। কিছু বাংলাদেশি ফিরেও এসেছে। যার সংখ্যা একশর কাছাকাছি। আরও শতাধিক ভারতে রয়েছেন। তাদের সমস্যারও সমাধান করতে চাই।

 

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য পদ পেয়েছে এ বছর। আমরা সমর্থন করেছি। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তারা নিরাপত্তা পরিষদে বসবে।

 

নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচিত হয়। আমাদের একটা কনসার্ন রোহিঙ্গা ইস্যু। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা অনেক চেষ্টা করে এসেছি যাতে নিরাপত্তা পরিষদে একটা রেজুলেশন পাস করা যায়। কিন্তু কিছু কিছু স্থায়ী সদস্যের রিজারভেশনের কারণে আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা ভারতের কাছে সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছি।

 

বাইলেটেরালি তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তারা (ভারত) ইনফ্রাস্ট্রাকচারসহ বেশকিছু জিনিস তৈরি করে দিচ্ছে রাখাইন রাজ্যে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পর তারা সেখানে থাকবে। আগামীতে নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার জন্য তাদের সহযোগিতা আমরা কামনা করেছি। তারা আমাদের অঞ্চলটাকে ভালো জানেন, দুই দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে সেটার আলোকে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।