Bangladesh
Gajipur Fire: Four bodies found
বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার উলুন গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল (৪৫), শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ ধনুয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২), গাজীপুর গ্রামের মো. হাসেন আলীর ছেলে শাহ জালাল (২৫), কালিয়াকৈর উপজেলার মৃত শামসুল হকের ছেলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার সেলিম কবির (৪২), ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ভূবনকোড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবীর রায়হান (২১) ও পাবনা জেলার আমীনপুর উপজেলার মৃত কেরামত সর্দারের ছেলে সুজন (৩০)।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘেঁষা নয়নপুর এলাকার ওই কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ। আগুন লাগার পর দমকল বাহিনীর ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আশপাশে কোনও পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হয়।
কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, অগ্নিকা-ের উৎস সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। আগুনে গুদামের প্রচুর তুলা পুড়ে গেছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, পুড়ে যাওয়া কারখানা থেকে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে তিনটি ও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুটি লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর আগে আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের স্বজন ও সহকর্মীদের দাবি, আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকার অটো স্পিনিং কারখানার তুলার গুদামে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। কারখানার ব্যাক প্রসেসিং ইউনিটে (তুলা উৎপাদনের প্রাথমিক ইউনিট) আগুনের সূত্রপাত হয় ও পরে তা বিভিন্ন ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ২২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।