Bangladesh

Gambling king is Samrat

Gambling king is Samrat

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 22 Sep 2019, 10:49 am
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২২ : ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত ছয়টি ক্লাবে ক্যাসিনো, জুয়ার আসর ও অশ্লীলতার নিয়ন্ত্রক ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ওই তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব। আটক করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে। এসব অভিযানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকও জব্দ করা হয়।


এদিকে ‘ক্যাসিনো মামলায় যুবলীগের যাকেই গ্রেফতার করা হবে তাকেই বহিষ্কার করব’- বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। ফলে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত সরকারদলীয় সংগঠনের এক সময়ের দোর্দন্ড প্রতাপশালী ব্যক্তিরা এখন আতঙ্কের এধ্যে দিনাতিপাত ক৪৪রছেন।


সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাজধানীর ক্যাসিনো সা¤্রাজ্যের বড় একটি অংশই মূলত চলে দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসএাইল হোসেন স¤্রাটের ছত্রচ্ছায়ায়। বর্তমানে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। যেকোনো সএয় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে বৃহস্পতিবার রাতে আদালতে তোলা হয়
এদিকে, অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে থাকা যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়া সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করেছেন যে, মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত ছয়টি ক্লাবে ক্যাসিনো, জুয়ার আসর ও অশ্লীলতার নিয়ন্ত্রক ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট।


তদন্ত সূত্র আরও জানায়, মতিঝিলে মোট ছয়টি ক্লাব রয়েছে। এর এধ্যে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছার; আরামবাগ ও দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে মমিনুল হক সাঈদ, ভিক্টোরিয়া ক্লাবের সভাপতি ইসএাইল চৌধুরী স¤্রাট এবং ইয়াংমেন্সের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।


স¤্রাট ও খালেদ দুটি ক্লাবের সভাপতি হলেও দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ওই ছয়টি ক্লাবের প্রতিটি জুয়ার আসর স¤্রাট ও খালেদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় চলতো। এছাড়া দৈনিক তারা দুজন জুয়ার আসর থেকে চাঁদা উত্তোলন করতেন।


চাঁদার নির্দিষ্ট পরিমাণ না জানলেও সূত্র জানায়, ক্লাব প্রতি চাঁদার হার প্রতি রাতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা।


গত বুধবার অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা রাখার অপরাধে খালেদকে গ্রেফতার করা হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে স¤্রাট। খালেদকে বুধবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন র‌্যাব সদস্যরা। পরদিন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং মামলা করে র‌্যাব। এর এধ্যে মাদক ও অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া মামলার তদন্তভার দেয়া হয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)।