Bangladesh
German envoy welcomes meeting between government and Front members
এই সংলাপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন খুব ভালো হবে এবং এর মধ্য দিয়ে প্রত্যেকেই এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পিটার ফারেনহোল্জ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক উন্নয়ন এবং ইতিবাচক অগ্রগতির প্রসংশা করেন। জার্মান রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পদ্মা সেতু, পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং অন্যান্য মেগা প্রকল্প হাতে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রশংসা করেন।
তার মতে, ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মেগা প্রকল্পে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত জার্মানির বহুজাতিক সিমেন্সের অংশগ্রহণ বাংলাদেশে আরও জার্মান বিনিয়োগের জন্য ‘লাইটহাউজ’ হিসেবে কাজ করবে। তিনি ই-পাসপোর্ট প্রকল্পটিতে দৃঢ় সমর্থনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান, যা জার্মান পাবলিক/প্রাইভেট কোম্পানি ‘ভেরিডোস জিএমবিএইচ’ বর্তমানে বাস্তবায়ন করছে। নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাংলাদেশ ও জার্মানি মধ্যে চলমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এছাড়া গত ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে অনুষ্ঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন। রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দেয়ায় জার্মান সরকারের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।