Bangladesh
Government to buy more powerful device to watch moon
প্রসঙ্গত, এ বছর ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনে দেখা দেয় বিপত্তি। অনেক আলেম-ওলামা ও সরকারের উচ্চ দায়িত্বশীলদের সমন্বয়ে গঠিত বৈঠক থেকে জানানো হয়, দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। তাই ঈদ হবে ৬ জুন বৃহস্পতিবার। রোজা ৩০ দিন পূর্ণ করতে তারাবিহ নামাজ পড়ার পর রাত ১১টায় ঘোষণা আসে যে, চাঁদ দেখা গেছে। তাই ঈদ হবে ৫ জুন। অবশেষে ৫ জুন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হয়।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ চাঁদ দেখা নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে সচিব বলেন, ‘৪০-৪৫ জন আলেমের পরামর্শক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথমবার দেয়া ঘোষণার আগে দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি। তখন আলেম-ওলামারা মতামত দেন যে, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ার সঙ্গে এ দেশের ঈদের কোনো সম্পর্ক নেই। দেশে চাঁদ দেখা যেতে হবে। এ কারণে রোজা রাখার প্রথম ঘোষণা আসে। পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি চাঁদ দেখতে পেয়েছেন। এ কারণে চাঁদ দেখা যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।’
আবার চাঁদ দেখতে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র কেনার ব্যাপারেও বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে। তখন ধর্ম সচিব বৈঠকে জানান, ‘চাঁদ দেখার জন্য থিওডোলাইট জাতীয় যন্ত্র কেনা হবে। প্রতিটি যন্ত্রের দাম পড়বে ৫০ লাখ টাকার মতো।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন মাদানী জানান, তারা মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করে দিয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিতর্ক তৈরি না হয়। সংসদীয় কমিটি মন্ত্রণালয়কে ভবিষ্যতে উন্নত প্রযুক্তির টেলিস্কোপ ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে। চাঁদ দেখার টেলিস্কোপ থাকলেও তা আধুনিক নয়। মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা চাঁদ দেখার জন্য আধুনিক যন্ত্র কিনবে।
চাঁদ দেখতে ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র কেনা হলে রমজানের রোজা ও ঈদ পালনে দ্বিধামুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বেশি। আশা করা যায়, সঠিক সময়ে মানুষ রোজা, ঈদ পালন করতে পারবে।