Bangladesh
Govt mourns death of Rama Choudhury
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তীতে তিনি ত্যাগ ও সংগ্রামের মূর্ত প্রতিক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ¯œাতকোত্তর রমা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধকালে তার স্বামীর সঙ্গে দেশ ত্যাগে অস্বীকৃতি জানান। ১৯৭১ সালের ১৩ মে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় এবং তাকে অমানুষিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। তিনি তার তিন শিশু সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করেন এবং প্রায়ই ক্ষুধায় দিনাতিপাত করেন। তার ছোট দুই ছেলে ঝোপঝাড়ে বা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের পর পরই তারা মারা যায়।
স্বাধীনতার পর রমা চৌধুরী খালি পায়ে হাঁটতেন এবং কখনো জুতা পায়ে দেননি। তার দুই ছেলে এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শত-সহ¯্র শহীদেরা এই মাটিতে শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে বলে তিনি খালি পায়ে চলাফেরা করতেন। স্বাধীনতার পর রমা চৌধুরী চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে তাঁর নিজের লেখা বই বিক্রি করতেন। তিনি একাত্তরের জননীসহ মোট ১৮টি বই লিখেছেন, যেখানে তিনি নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন। তার অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে, এক হাজার একদিন যাপনের পদ্য, ভাব-বৈচিত্র্যে রবীন্দ্রনাথ, আগুন রাঙা আগুন ঝরা এবং অশ্রুভেজা একটি দিন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন ২০১৮ এবং মোটর সাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা, ২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়। তিনি বলেন, শিশু একাডেমি ১৯৭৬ সালে জারি করা তৎকালীন সামরিক সরকারের অধ্যাদেশে চলছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ি, নতুন আইনে অধ্যাদেশটি আইনে রূপান্তর করা হয়েছে। নতুন আইনে ১৯ সদস্যের ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন এবং একাডেমির পরিচালক পদটিকে মহাপরিচালক পদে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আইন অনুসারে, শিশু সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি অথবা স্বাধীনতা পদক বা একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সরকার এই প্রতিষ্ঠানের ‘চেয়ারম্যান’ পদে নিয়োগ করবে।