Bangladesh

Grenade Attack: State instrument was used in planned way
Amirul Momenin

Grenade Attack: State instrument was used in planned way

Bangladesh Live News | @indiablooms | 23 Aug 2020, 07:05 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৩ আগস্ট ২০২০ : হাওয়া ভবনের ছক অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারেনি বলেই বিএনপি একুশে আগস্টের হত্যাকে দুর্ঘটনা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই হামলা করা হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির নেতারা দিবালোকের মত সত্যকে বিকৃত করে বলছে, একুশে আগস্ট নাকি দুর্ঘটনা। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিলো। যা ছিলো পনের আগস্টের হত্যাকান্ডেরই ধারাবাহিকতা। একুশে আগস্টের টার্গেট ছিলো দেশরতœ শেখ হাসিনা।


তিনি বলেন, মুফতি হান্নানসহ অন্যান্যদের বক্তব্য এবং দালিলিক প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে কারা এর পেছনে মদদ দিয়েছে, কারা বৈঠক করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন তাদের নির্দেশেই এই হামলা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সবই জানতো। তারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। মুছে দিতে চেয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুনীদের নিখুঁত হত্যা-পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্ঘটনাই মনে করতে পারে। তদন্তে বাধা দেয়া, জজ মিয়া নাটক সাজানো, আলামত নষ্টকরাসহ পদে পদে বাধাদানের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিষ্টতার অকাট্য প্রমাণ জাতির কাছে আজ স্পষ্ট।


করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, “দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ছেও না, আবার কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশে তুলনামূলক অবস্থান ভাল হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। নিউজিল্যান্ড এবং স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশে দ্বিত্বীয় ওয়েব শুরু হয়ে গেছে। যে কোন সময়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি কিংবা দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।


তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এমন ভেবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে তা স্বাস্থ্যবান্ধব করতে হবে।