Bangladesh

রোহিঙ্গা বিষয় শেখ হাসিনা সরকার আজ বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত

রোহিঙ্গা বিষয় শেখ হাসিনা সরকার আজ বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত

| | 14 Feb 2018, 09:34 am
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১২ঃ ভালো কাজ করলে সকলেই প্রশংসা করবে। আর মানবিকতার প্রতিক হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে রোহিঙ্গা বিষয়টি দেখেছেন তা আজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।

সুইডেন থেকে যুক্ত রাষ্ট্র, দুই দেশের নেতারা কিছুদিনের মধ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে বাংলাদেশ এসেছিলেন।

 

আর দুজনের প্রশংসা করে গেছেন শেখ হাসিনা ও ওনার সরকারের।

 

বাংলাদেশের মাটিতে গত কিছু মাসে মিয়ানমারের রাখাইনে নিপীড়নের মুখে পরে বহু রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

এর মাঝে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পরিদর্শন করতে এসেছেন বিদেশী ও দেশের নেতারা।

 

এই নেতাদের মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে।

 

কিছুদিন আগে এলেন সফররত সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালেইন বেরসে।


আজ রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে গিয়ে তাদের অবস্থা দেখেন উনি।

 

রোহিঙ্গারা এি বিপুল সংখ্যায় বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টিকে তুলে ধরে সুইস নেতা বলেন  এই সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

 

এই বিপুল সংখ্যক মানুষকেয়াশ্র্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে প্রশংসা করেন অ্যালেইন বেরসে।

প্রসঙ্গত, উনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন যে এই মাটিতে রোহিঙ্গার ভরণ-পোষণের জন্য সুইজারল্যান্ড ত্রাণ সহায়তাসহ নানা তৎপরতার মাধ্যমে আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে সুইজারল্যান্ড।


উনি সম্মানের সাথে এই মানুষদের মিয়ানমারে ফেরাতে হবে এই বিষয়টির উপরে জোড় দেন।

 

“তাদের ফিরে যাওয়া হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে," সুইস নেতা বলেন।

 

এই দেশে আসার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন এই ইউরোপীয় নেতা।

 

এই বছরই ১ কোটি ২০ লাখ সুইস ফ্রাঁ এই দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশে সফররত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি অ্যালেইন বেরসে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকের শেষে এই ঘোষণা করেন সুইস নেতা।

 

চারদিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছেন উনি।

 

এই রোহিঙ্গা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেছেন উনি।

 

এই বৈঠকের সময়, হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর বিষয়টিতে নজর দিতে সুইজারল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

 

এই বৈঠকের বিষয় হাসিনা বলেনঃ "এই সমস্যার মূল মিয়ানমারে। তাই মিয়ানমারকেই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।”

 

যৌথ সমগবনাদ সম্মেলনের সময় হাসিনা এই কথাগুলি বলেন।

 


গত বছরে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতা শুরু হলে বহু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাব গত বছর তুলে ধিরেছিলেন হাসিনা।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গ সপ্তাহে এসেছিলেন বাংলাদেশ।


বিষয় আবার একবার রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখা।


হাসিনাকে এই বিষয়টিকে দক্ষভাবে পরিচালনা করায় প্রশংসা করেছেন বরিস।

 

রোহিঙ্গা সমস্যা সুন্দরভাবে মোকাবিলার কারণে আগেও আন্তর্জাতিক স্তরে শেখ হাসিনা ও ওনার সরকার প্রশংশিত হয়েছেন।