Bangladesh

Handing over bodies is now a big challenge: IGP says on Dhaka Fire victims

Handing over bodies is now a big challenge: IGP says on Dhaka Fire victims

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 21 Feb 2019, 12:51 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২২: পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকা-ে যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে দেখতে আমরা এসেছিলাম। আমরা দেখলাম ৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে তিনজন আইসিইউতে এবং ছয়জন বেডে আছেন।’


তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক, যেটি কারোরই কাম্য হতে পারে না। সারারাত ধরে ফায়ার ব্রিগেড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে। স্থানীয় জনগণ সারারাত ধরে কাজ করেছেন। সবাই চেষ্টা করেছেন দ্রুত আগুন নেভানোর। যারা আহত তাদের হাসপাতালে হস্তান্তর করার জন্য।’


আইজিপি বলেন, ‘আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ যে কয়টি মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হবে বা হয়েছে, সে কয়টিকে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা। বিশেষ করে অগ্নিকা-ে অগ্নিদগ্ধ মরদেহ শনাক্তকরণে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। কারণ এ সময় মুখের বা দেহের আকৃতি চেনা যায় না। পরিধেয় কোনো কিছু চেনা যায় না।’


মৃতদেহ ডিএনএ টেস্ট প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, ‘যেটুকু শুনেছি যারা মারা গেছেন তারা অত্যন্ত ভয়ঙ্করভাবে পুড়ে গেছেন। তাদের এখন ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। ডিএনএ টেস্ট করে নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচিং করতে হবে। যদি তাদের নিকটাত্মীয়দের শনাক্ত করা যায়, সেক্ষেত্রে নিখোঁজ মরদেহগুলো আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা যাবে।’


নিখোঁজদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৬৭ জনের মধ্যে ৩৮ জন শনাক্ত হয়েছে। সুতরাং বাকিরা নিখোঁজ। শনাক্ত হওয়ার পরেই আপনি বলতে পারবেন আমি আমার আত্মীয়কে পেলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত শনাক্ত না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি নিখোঁজ।’ পুরান ঢাকার অলিগলিতে অবৈধ গোডাউনগুলো স্থানান্তর করতে সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল জানিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘নিমতলীর ঘটনার পরে সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করেছিলাম পুরান ঢাকার অলিগলিতে অবৈধ যেসব গোডাউন আছে সেগুলো স্থানান্তর করার। সরকারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল এবং আমার জানামতে কেরানীগঞ্জের ওইদিকে জমি নির্দিষ্ট করে দিয়ে এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমি যে টুকু শুনতে পেরেছি খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে কর্মপন্থা ঠিক করা হবে...যারা এখানে রয়ে গেছেন তাদেরকে অন্য কোথাও কিভাবে সরিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়ে।’