Bangladesh

Hawker moves to Saudi to save his life

Hawker moves to Saudi to save his life

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Nov 2018, 12:41 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ১ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুল জলিল। চলতি বছর পাড়ি জমান সৌদি আরবে।

এলাকার পরিচিত একজনের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করেন। কিন্তু সৌদি গিয়ে দেখেন যার মাধ্যমে তিনি এসেছেন তার নিজেরও কাজ নেই। সৌদি আরব যাওয়ার পর ইকামা (ভিসা ঠিক রেখে নিয়োগকর্তা পরিবর্তন) ও কাজ না পেলেও ভিসা প্রদানকারীকে তেমন চাপ দেননি তিনি। শুধু ইকামার জন্য বেশ কয়েকবার তাগাদা দিয়েছেন। কয়েক মাস পর জলিল জানতে পারেন, কোনো কারণে কফিলের কম্পিউটার ডেড হয়ে আছে। এ কারণে ইকামাও হবে না।

 

আব্দুল জলিলের মতো এমন শত শত প্রবাসী রয়েছেন, যাদের ইকামা নেই। কিন্তু সবাই ছয়-সাত লাখ টাকা খরচ করে নিজের ও পরিবারের সুন্দর জীবনের আশায় সৌদি আরব গেছেন। আব্দুল জলিরের নিজের কাছে এত টাকা ছিল না। ব্যাংকেও কোনো টাকা জমা ছিল না। চড়া সুদে লোন নিয়ে, জমি বন্ধক রেখে এবং বাড়ির শেষ সম্বল একটি গরু বিক্রি করে বহু কষ্টে সমুদয় অর্থ জোগাড় করেছেন। সৌদি আরব যাওয়ার আগে তিনি ভেবেছিলেন, দুই বছর কষ্ট করে কাজ করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সৌদি গিয়ে এসে হিতে বিপরীত হয়েছে। কোনো কাজ নেই, বাড়িতে টাকা-পয়সা পাঠাতে পারছেন না। পরিবার-পরিজন অনাহারে-অর্ধহারে দিন পার করছে।

 

তিনি আরও জানান, সৌদিতে নতুন যারা আসছেন তারা তো বেকার থাকছেনই, পুরনো অনেকেই বেকার জীবন-যাপন করছেন দেশটির নানা নিয়ম-কানুনে। শেষমেষ কোনো উপায় না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে দেশে ফিরে আসছেন।

 

শুধু জলিল নয়, তার মতো শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি না জেনে ও বুঝে সৌদি গিয়ে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। দেশে ফিরে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। আর যারা সৌদি আরবে থেকে যাচ্ছেন তারা বাধ্য হয়ে অনেক নিম্নমানের কাজ করছেন, যা তারা দেশে থাকতে কখনও চিন্তা করেননি। আবার দেশটিতে এসব কাজের কোনো অনুমতিও নেই। ধরা পড়লে সোজা জেল।

 

জলিল বলেন, ‘কিছু তো করতে হবে। কেউ তো বসায়ে এখানে খাওয়াবে না। তাই বাধ্য হয়ে কিছু করা। সাত লাখ টাকা খরচ করে এখানে এসে এখন রোদে পুড়ে পানি বিক্রি করছি। প্রচ- রোদের মধ্যে হয় পানির বোতল, না হয় দৈনন্দিন বিভিন্ন উপকরণ বিক্রি করি। যা প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিনে নেন।’