Bangladesh

আওয়ামী লীগ চায়না বিএনপি 'ভেঙ্গে যাক'

আওয়ামী লীগ চায়না বিএনপি 'ভেঙ্গে যাক'

| | 13 Feb 2018, 06:20 am
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১৩ঃআওয়ামী লীগ আজ পরিষ্কার করে দিয়েছে যে তারা কিছুতেই চাইবে না যে বিএনপি এর মত বড় দল ভেঙ্গে যাক।

সাংবাদিকদের আজ  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বলেছেনঃ " আমি চাই না বিএনপি ভাঙুক। বিএনপি একটা বড় দল। আমরা চাই না সেটা ভাঙুক। এই চেষ্টাও আমরা করব না।"


রাজধানীর রেডিসন হোটেলের সামনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে মন্ত্রীকে সাংবাদিকদেরা প্রশ্ন করলে উনি এই মন্তব্যটি করেন।

 

উনি বলেন বিএনপি দলের ভাঙ্গার জন্য দল নিজে দায়ী।

 

"বিএনপি ভাঙার জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী এবং বিএনপির সংকট আমরা ঘনীভূত করব না, আমরা এখানে ফ্যাক্ট না। বিএনপির সাংগঠনিক অভ্যন্তরীণ সংকট ঘনীভূত করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট," কাদের বলেন।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে, বৃহস্পতিবার দেশের এক আদালত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।


কাদের জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বলেন যে সেটি আদালতের বিষয়।


"আদালত যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন, সেখানে আমাদের তো কোনো অসুবিধা নেই। এই রকম কথার কোনো উপসংহার নেই। তারা একবার বলছে, যেকোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনে যাবে। আবার বলে খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। তাদের জিজ্ঞাসা করুন, কোনটা ঠিক," উনি বলেন।


নির্বাচনের প্রসঙ্গে উনি বলেনঃ "আমরা নির্বাচনে বিএনপির মতো একটি বড় দলকে প্রতিবন্ধিতার জন্য চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মজা না থাকলে ইলেকশনে মজা নাই। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং ইলেকশনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক।"

 

এই রায়  দিয়েছেন পুরান বকশীবাজারে জনাকীর্ণ আদালতে খালেদার উপস্থিতিতে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান।


রায়কে ঘিরে দেশজুড়ে ছিল টান টান উত্তেজনা।


দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনকে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়।


বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের এই মামলায় আদালত দিয়েছেন  দশ বছরের কারাদণ্ড।

 

বিচারক এই মামলায় প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে।

 

ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় জিয়াকে।