Bangladesh
শিক্ষার দুনিয়াতেও শেখ হাসিনা সরকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে
আর একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির উপরে অনেকটাই দাঁড়িয়ে থাকে তার সার্বিক গঠনের।
সেই পথেই কিছু দিন আগে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সাথে এই দেশের সরকারের কলেজ শিক্ষার উন্নয়নে ১০ কোটি ডলার নিতে চুক্তি করেছেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সহায়তা করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি জাহিদ হোসেন।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক ঋণ দেবেন ‘কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এই প্রকল্পের আয়ত্তে।
এই ঋণ যে দেওয়া হবে তাঁর মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হারে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সমান।
আগামী দিনে বাংলাদেশকে ছয় বছরের রেয়াতকালসহ ৩৮ বছরে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ এবং শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে ‘কমিটমেন্ট ফি’ দিয়ে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ হাজার ৪০ কোটি টাকার বাকি মূল্যটি সরকার জোগাবে, সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গেছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যৌথভাবে এই প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন।
এই চুক্তির শেষে,অতিরিক্ত সচিব আজম সাংবাদিকদের এই বিষয় বলেনঃ "বিশ্ব ব্যাংক এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, হাই স্কুল ও প্রাইমারি স্কুলেই অর্থায়ন করেছে।"
উনি বলেনঃ "এবারই তারা প্রথম কলেজ শিক্ষার মান উন্নয়নে অর্থায়ন করছে।”
তবে শুধু শিক্ষার দিকে নয় আর্থিক উন্নতিও করছে বাংলাদেশ সরকার।
আর শেখ হাসিনার সরকারের উন্নতির বিষয়টি এখন পৃথিবীও মানতে শুরু করেছেন।
এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলে গেছেন যে বাংলাদেশ খুব শিগগিরি বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির ৩০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিতে পারে।
আর ওনার মতে এই স্থানে পৌঁছাতে বাংলাদেশকে হয়তো আর ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
দেশের মানুষকে এক নতুন আশা দিয়ে, এই কথাটি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অব সাউথ এবং সেন্ট্রাল এশিয়া অ্যাঞ্জেলা অ্যাগিলার।
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেছেন উনি।
উনি বলেছেন বাংলাদেশ এই স্থানটি অর্জন করবার জন্য সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
উনি বলেছেন এশিয়ার এক দেশটি গত কিছু বছরে প্রায় ১ কোটি মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
তবে এই পদক্ষেপে ইউএস এইড সংস্থাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছেন, বলে উনি মনে করেন।
আর এই উন্নতির পথে বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অক্লান্ত কাজ করে চলেছে।
হাসিনা বার বার দেশের মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ওনার সরকার সবার সেবা ও উন্নতি করবার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।
এই পথ ধরেই, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন কিছুদিনা আগে যে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে কমেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সদ্য প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের অগাস্টে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে।
গত বছর এই সময় এই সংখ্যা ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।