Bangladesh
Hotel Intercontinental to be inaugurated today
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচতারা হেটেলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আজ হোটেলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও এর বাণিজ্যিক সেবা কার্যক্রম শুরু হবে নভেম্বর মাসে। নভেম্বর পর্যন্ত হোটেলটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, হোটেলটি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষেই হোটেলটি বাণিজ্যিকভাবে খুলে দেওয়া হবে।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মোহম্মদ শাহজাহান কামাল।
তিনি জানান, এর আগে রূপসী বাংলা হোটেলে কক্ষ ছিল ছোট-বড় মিলিয়ে ২৭২টি। সংস্কারের পর এ সংখ্যা কমে ২৩১টিতে দাঁড়িয়েছে। আয়তনের দিক থেকে কক্ষের আকার দাঁড়িয়েছে ২৬ থেকে ৪০ স্কয়ার মিটার।
বিশ্বমানের অতিথি সেবা নিশ্চিত করতে পরিবর্তন করা হয়েছে সুইমিং পুল ও ডাইনিং হলের স্থান। এর আগে হোটেলটির হলরুম ছিল একদিকে, উইন্টার গার্ডেন নামে সবচেয়ে বড় হলরুমের অবস্থান ছিল আরেক দিকে। এখন দুটি এক করে দেওয়া হয়েছে। হোটেলটির মূল ফটকও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেতরের সুইমিং পুলটিও স্থানান্তর করে সাজানো হয়েছে নতুন করে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাড়ানো হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। সংস্কার কাজে প্রায় ৬২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, হেটেলটির মালিক বাংলাদেশ সরকার। তবে এটি অপারেট করবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কর্তৃপক্ষ। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হোটেলটির ৫০ শতংশ মুনাফার ১০ শতাংশ পাবে অপারেট প্রতিষ্ঠান হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল কর্তৃপক্ষ। একইভাবে হোটেলটির ৪০ শতাংশ মুনাফার ৯ শতাংশ, ৩০ শতাংশ মুনাফার ৮ শতাংশ পাবে অপারেট প্রতিষ্ঠান। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের পাঁচতারা হেটেলে যেসব সুবিধা গ্রাহকরা পন, এখানেও তা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিলো এ দেশের প্রথম পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের। স্থপতি উইলিয়াম বি ট্যাবলারের চমৎকার নকশার এ হোটেলটি আজও চমৎকার স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন। এটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল নামেই চলে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত। এরপর স্টারউড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় ১৯৮৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ঢাকা শেরাটন হোটেল নামে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলে। শেরাটনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ‘রূপসী বাংলা হোটেল’ নামে এটি পরিচালিত হয়।