Bangladesh

Housewife kills three in Barishal
Amirul Momenin

Housewife kills three in Barishal

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Dec 2019, 12:19 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ১০ : বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে ঘ্যুার ঘটনায় গ্রেফতার কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি শিশির কুমার পাল বরিশাল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিশরাত জাহান মিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামান শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শাশুড়ি, ননদ, জামাই ও স্বামীর খালাতো ভাইকে হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রোববার রাতে মিশুকে গ্রেফতার করে বানারীপাড়া থানা পুলিশ। এছাড়া এর আগে তিনজন হত্যার ঘটনায় রাজমিস্ত্রি জাকির হোসেন ও তার সহযোগী জুয়েল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো।


রোববার জাকির হোসেন ও তার সহযোগী জুয়েল হাওলাদার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দেন।


স্থানীয়রা জানান, কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশুর সঙ্গে রাজমিস্ত্রি জাকির হোসেনের অনৈতিক সম্পর্কই হত্যাকান্ডের মূল কারণ। বিষয়টি জেনে ফেলায় শাশুড়ি, ননদ জামাই ও স্বামীর খালাতো ভাইকে হত্যা করা হয়।


শনিবার সকালে বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর এলাকার কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের বাড়ি থেকে তার মা মরিয়ম বেগম (৭০), বোন মমুাজ বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শফিকুল আলম (৬০) ও খালাতো ভাই মো. ইউসুফের (২২) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রবাসী রবের ভাই সুলুান মাহমুদ বাদী হয়ে রাজমিস্ত্রি জাকির হোসেন ও তার সহযোগী জুয়েল হাওলাদারকে আসামি করে শুক্রবার রাতে বানারীপাড়া থানায় মামলা করেন।


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি শিশির কুমার পাল জানান, মামলার আসামি জাকির হোসেন ও তার সহযোগী জুয়েল হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সঙ্গে গৃহবধূ মিশুর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় রোববার রাতে মিশুকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মিশুর দেবরের মেয়ে কলেজছাত্রী আছিয়া আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আছিয়া আক্তারের সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে না পাওয়ায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।