Bangladesh

নিয়ম মানা, সুন্দর দেশ গড়বার জন্য হাসিনা আহ্বান করলেন দেশের মানুষকে

নিয়ম মানা, সুন্দর দেশ গড়বার জন্য হাসিনা আহ্বান করলেন দেশের মানুষকে

| | 03 Jan 2018, 07:31 am
ঢাকা, জানুয়ারি ৩ঃ একটি নিয়ম শৃঙ্খলা পালন করা দেশ তৈরি করবার জন্য যা প্রয়োজন সকল পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে শেখ হাসিনা সরকার।

কখনও উনি নরম আবার আরেকদিকে গ্রম হয়ে হাসিনা চেষ্টা করেন সুন্দরভাবে দেশকে পরিচালিত করতে।

 

যেমন মঙ্গলবার হাসিনা দেশের মানুষকে আরও পরিশ্রমী হওয়ার জন্য আহ্বান করলেন।

 

উনি  বলেছনে যে সুবিধাভোগীরা যেন কর্মবিমুখ না হয় সেই বিষয়টির উপরে মাথায় রেখেই যেন ভাতা দেওয়া হয়।

 

জাতীয় সমাজসেবা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখার সময় হাসিনা এই কথাগুলি বলেছেন।

 

উনি বলেনঃ "কেউ যেন সম্পূর্ণভাবে ভাতার ওপর নির্ভরশীল না হয়। যে কর্মক্ষম, সে নিজে কাজ করে খাবে।"

 

“কিন্তু সে যেন অভুক্ত না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে অন্তত মাসে দশ কিলো চাল কিনতে পারে, সেই সমপরিমাণ আর তার সাথে আরো বেশি টাকা আমরা দিচ্ছি," হাসিনা বলেন।

 

সরকারের উপরে নির্ভরশীলতা ক্মাতেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে হাসিনা বলেন, "যারা কর্মক্ষম তারা যেন কাজ করে নিজের উপার্জন বাড়াতে পারে।”

 

কঠোর ভাষায় উনি বলেনঃ "এর থেকে বেশি আমি দিতে চাই না। এই কারণে যে, তাহলে কেউ আর কেউ কাজ করবে না। হাত গুটিয়ে বসে ঘরে বসে থাকবে, আর ওইভাবেই চলতে থাকবে।”

 

একটি সংসার সরকারের দেওয়া ভাতায় চলে না, এই বিষয় মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার সময় হাসিনা বলেনঃ "“অনেককেই বলতে শুনেছি, এই ভাতা দিচ্ছে, এই ভাতায় কী সংসার চলে ? সকল সংসার চালানোর দায়িত্ব তো সরকারের না। যার যার সংসার সে সে চালাবে। কেউ যেন অভুক্ত না থাকে, অবহেলিত না থাকে; সেটুকু দেখার দায়িত্ব সরকারের।”


স্কুল ও শিক্ষার দিকে ধ্যান দেওয়ার জন্য কিছুদিন আগে প্রত্যেককে আহ্বান করেন উনি।


হাসিনা শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেশের স্কুল স্তরের শিক্ষার মান ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

 

“আমাদের স্কুলগুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। সেখানে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কিনা; এই বিষয়টার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি," হাসিনা বলেন।

 

৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এই বছর পাস করেছেন অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা।

 

এদের মধ্যে এই পরীক্ষায় এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।

 

তবে, পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে দেখা যাচ্ছে এ পরীক্ষায় পাসের হার বড় পতন হয়েছে।

 

পাশাপাশি,  পূর্ণাঙ্গ জিপিএ শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে গেছে।

 

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই বছরের ফলের পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

 

এই বছর পাশে হার কমার বিষয় কথা বলতে গিয়ে হাসিনা বলেনঃ “এ বছর যেহেতু আপনাদের নজরদারি বেড়েছে; সে কারণে হয়ত একটু কম। আশাকরি ভবিষ্যতে যেন বাড়ে।”

 


উনি বলেন দেশের ছেলে ও মেয়েদের সকল প্রকারের সুবিধা দিচ্ছে ওনার সরকার।

 


“আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে, আমরা সব রকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। সেখানে,তারা ফেল করবে কেন? তাদের মেধা আছে," হাসিনা বলেন।

 


জেএসসি-জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৯৩ দশমিক ০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী  গত বছর পাস করেছিলেন।

 

দুই লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন জেএসসি-জেডিসি মিলিয়ে সেই বছর পূর্ণ জিপিএ পেয়েছিলেন।

 

২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন শিক্ষার্থী  এই বছর অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।


আবার একভাবে উনি স্বপ্ন দেখেন ও দেখান।


কিছুদিন আগে বলেন যে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করা হবে।


ইংরেজী বছরের শেষ দিন- ডিসেম্বর ৩১- হাসিনা বলেন ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করা হবে।

হাসিনা বলেন দেশের মানুষকে ওনার নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে আহ্বান করেছেন।

 

হাসিনা দেশের মানুষকে বলেন যে ওনার সরকার উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য কাজ করবে।

 

"অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও নৌকার পাশে থাকুন। আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি, আগামীতেও করব," হাসিনা বলেন।

 

যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় নিজের বক্তব্য রাখার সময় হাসিনা এই কথাগুলি বলেছেন।

 

যশোরের উন্নয়নের বিষয় কথা বলতে গিয়ে হাসিনা বলেনঃ "এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য কপোতাক্ষসহ ভৈরব নদের জলাবদ্ধতা যদি দূর করতে পারি, তাহলে ভবদহের পানিনিষ্কাশনও সহজ হয়ে যাবে। ভবদহ সংস্কারেরও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।"

 

হাসিনা বলেন বিএনপি-জামায়াত জোট দেশকে 'ভূতের' মত পেছনের দিকে চালিয়েছে।

 

উনি বলেন এই জোট ক্ষমতায় এলে হত্যা, সন্ত্রাস, লুটপাট ও সন্ত্রাস বেড়ে যায়।

 

হাসিনা বলেন উনি দুর্নীতির জন্য ক্ষমতায় আসেনি।

 

"আমি শেখ হাসিনা, জাতির পিতার কন্যা। আমি দুর্নীতি করতে আসিনি," হাসিনা বলেন।

 

পদ্মা সেতুর উদাহরণ তুলে ধরে উনি বলেনঃ "বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু নির্মাণে আমাদের দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। "