Bangladesh

I feel proud being the daughter of Bangabandhu: Sheikh Hasina

I feel proud being the daughter of Bangabandhu: Sheikh Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 27 Dec 2018, 10:48 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ২৮: প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, জাতির পিতার কন্যা হিসেবেই তিনি গর্ব অনুভব করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই পদটাকে কীভাবে উপভোগ করবো সেই চিন্তা করি না, মানুষের কল্যাণে নিজেকে কতটুকু নিয়োজিত করতে পারলাম, আমার কাছে সেটাই বিবেচ্য।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন। বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে তিনি সরকারি কর্মচারীদের তাদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি থাকি বা না থাকি, আপনাদের কাছে আবেদন একটাই থাকবে। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। কারণ, আপনারা সরকারি কর্মচারী। আপনাদের বেতন-ভাতা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকাতেই হয়। কাজেই তাদের সেবা ও কল্যাণ করা আপনাদের দায়িত্ব।’


প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, মহাপরিচালক বেগম নাসরিন আফরোজ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফ-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, প্রটোকল অফিসার খুরশীদ আলম, সহকারী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন, একান্ত সচিব (২) অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।


প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি কিন্তু নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি বাবার কন্যা ‘ফাদারস ডটার।’ সন্তান হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি জাতির পিতার কন্যা। আমি আপনাদের কাছে এটুকুই চাইবো, আপনারা সবসময় আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবেই আপনাদের একান্ত আপনজন হিসেবে দেখবেন। সেটাই আমি চাই। সেটাইতেই আমি গর্বিত বোধ করি, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।’


তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রিত্ব, এটা একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কাজ করার সুযোগ পাই এর মাধ্যমে। দেশের কল্যাণ করার একটা সুযোগ পাই। সেটাই আমার কাছে বড়।’ তিনি সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘১০ বছর একটানা থাকায় অনেক কাজ করে যেতে পেরেছি।

এখনও বহু কাজ বাকি। সেটাও নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণের ওপর। আগামী ৩০ তারিখে যদি তারা ভোট দেয়, তাহলে আবার আসতে পারবো এবং কাজগুলোকে শেষ করতে পারবো। আর তা না হলে মানুষের ভাগ্য মানুষ বেছে নেবে। এখানে আমার কোনও ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। কেননা, আমার নিজের জীবনে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই’।