Bangladesh

কোটা সংস্কার: ৭ মের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর প্রতিশ্রুতি সরকারের

কোটা সংস্কার: ৭ মের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর প্রতিশ্রুতি সরকারের

| | 10 Apr 2018, 09:13 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ১০: সরকারি চাকরির বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে’ আগামী ৭ মের মধ্যে সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। সোমবার ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি আসার পর কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভক্তি।

বৈঠকে অংশ নেওয়া অংশটি ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানালেও অন্য অংশটি তা বর্জন করে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।

 

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাস ছেড়েছে ওই অংশটি।

আগের দিন সারারাত পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘাতের পর সোমবারও দুপুর থেকে ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে এই আন্দোলনকারীরা। বিকালে তাদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনও সে সময় বলেন, ‘আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হল। এখন পর্যন্ত আমার যে সকল ভাই বোনেরা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সকলকে নিশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হবে এবং পাশাপাশি যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।’


কিন্তু তারা সচিবালয় থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফিরলে সেখানে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ফলে ক্যাম্পাসে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়।


বর্তমানে দেশে পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য। প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ও জেলা কোটা ১০ শতাংশ করে। সব মিলিয়ে কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ। ফলে এর কোনো শ্রেণিতে যারা পড়েন না, তাদের প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে বাকি ৪৪ শতাংশের জন্য। এই পদ্ধতি সংস্কারের পাঁচ দফা দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। তাদের দাবিগুলো হল- সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অভিন্ন বয়সসীমা, নিয়োগপরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা। এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।