Bangladesh

কখনও কড়া বার্তা, আবার কোথাও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশঃ শেখ হাসিনা সকলের পাশে আছেন

কখনও কড়া বার্তা, আবার কোথাও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশঃ শেখ হাসিনা সকলের পাশে আছেন

| | 31 Dec 2017, 11:31 am
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৮ঃ কড়া বার্তা দিতে ভ্য পায়না বাংলাদেশের সরকার।

এই বিষয়টি আবার একবার আজ বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সরকারি চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে থেকে যথাযথভাবে মানুষকে সেবা দেওয়ার নির্দেশ আজ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

সেই মত না চলতে পারলে তারা যেন চাকরি ছেড়ে দেন, হাসিনা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাতটি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্য রাখার সময় এই মন্তব্যটি করেছেন।

 

"আমরা যখন উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের নিয়োগ দিই, তখন অনেকেই আছেন যাঁরা কর্মক্ষেত্রে থাকতে চান না। বরং তাঁরা যেকোনো উপায়েই ঢাকায় থাকেন। যদি চিকিৎসকদের ঢাকাতেই থাকার ইচ্ছা হয়, তাহলে তাঁদের সরকারি চাকরি করার প্রয়োজন নেই," হাসিনা বলেন।

 

"রাজধানীতে বসে প্রাইভেট রোগী দেখে তাঁরা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। তাই তাঁদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়াই ভালো। আমরা তাঁদের স্থানে নতুন নিয়োগ দেব," হাসিনা বলেন।

 

উনি আরও বলেন যে দেশে বেশ কিছু মেডিকেল কলেজের স্থাপনা কড়া হয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতি করবার লক্ষ্যে।

 

"আমরা ইতিমধ্যেই পাঁচটি সেনানিবাসে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছি এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সেনানিবাসেও এ ধরনের কলেজ প্রতিষ্ঠা করব," উনি বলেন।

 

শুধু চিকিৎসকদের নয়, হাসিনা কিছুদিন আগে দেশের নতুন সেনা কর্মীদেরও মানুষের সেবার জন্য পাশা দাঁড়াতে বলেন।

 

জনগণের পাশে নিঃস্বার্থভাবে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সেনাবাহিনীর নবীন অফিসারদের প্রতি আহ্বান করেছেন।

 

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৭৫তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের রাষ্ট্রপতি প্যারেড শেষে কমিশন পাওয়া অফিসারদের উদ্দেশে এই কথাগুলি বলেছেন হাসিনা।

 

“সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে তোমাদের জীবনের প্রথম ও প্রধান ব্রত।… তোমরা নিঃস্বার্থভাবে জনগণের পাশে থাকবে এবং দেশের সেবা করবে," হাসিনা বলেন।

 

উনি বলেন অফিসারদের মনে রাখা উচিত যে তারা হলেন এই দেশের জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

 

"তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এদেশের সন্তান। জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ।তাই তোমাদের সকলকেই সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে," হাসিনা বলেন।

 

কমিশন পাওয়া অফিসারদের শুভেচ্ছা জানান হাসিনা বলেনঃ "আজকের দিনটি তোমাদের জীবনে অত্যন্ত আনন্দের এবং গুরুত্বপূর্ণ। আজ থেকে তোমাদের উপর ন্যস্ত হচ্ছে দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে তোমাদের সজাগ ও সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”

 

হাসিনা সেনা সদস্যদের বাহিনীর শৃঙ্খলা ও নিয়ম মেনে চলবার জন্য  আহ্বান করেন।

 

ওনার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে হাসিনা বলেন "বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের মানুষ শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে- এটিই আমার প্রত্যাশা।”

 

এই অনুষ্ঠানে হাসিনা  কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেছেন।