Bangladesh
If China wants then Rohingya solution can be reached: Khusroo
সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসন্ন চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। আগামীকাল বুধবার আবদুল মতিন খসরু চীনা কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিসি)’র আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের ২০ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ৮ দিনে সফরে বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছেন। তিনি বলেন, সফরকালে আমরা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দের সংগে বিশেষ করে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের বিষয়ে কথা বলব, যাতে করা তারা এ ব্যাপারে মায়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
খসরু বলেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টি যে বক্তব্য দেবে-সেটাই তাদের সরকারের বক্তব্য। সফরকালে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তাদের যথাযথ ভূমিকা রাখার ওপর জোর দেব। যেন রোহিঙ্গারা সসম্মানে নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু আমরা এমনিতেই ওভার পপুলেটেড কান্ট্রি। কক্সবাজারে আমাদের জনসংখ্যা মাত্র ৪ লাখ, সেখানে রোহিঙ্গারা এসে রয়েছে ১১ লাখ। তাদের কারণে আমাদের পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটছে। এখন সমগ্র বিশ্ব সমাজ চাচ্ছে রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যাক। এ জন্য যথাযথ ভূমিকা প্রয়োজন মিয়ানমার গভর্নমেন্টের। মিয়ানমার গভর্নমেন্টের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও আমাদের হয়েছে। চীন যদি যথাযথ ভূমিকা পালন করে তাহলে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি সহজ হবে।’
আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দুটি কনফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছি আমরা। সেখানে চীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চীনকে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে জোরালো আহ্বান জানানো হবে।’
অপরদিকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আসাম থেকে ১৫ লাখ মানুষকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার এমন বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসামের অর্থমন্ত্রী বলছেন ফেরত পাঠানো হবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এটা ঠিক নয়। আমরা মনে করি এটি সম্পূর্ণভাবে তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এখনই আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। সম্পূর্ণ বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’