Bangladesh

Independence Day celebrated across Bangladesh

Independence Day celebrated across Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 26 Mar 2019, 11:44 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মার্চ ২৭: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতি উদযাপন করল ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দেশের আপামর জনসাধারণ। যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রত্যুষে রাজধানীতে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়।

ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তারা সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহনীর প্রধানগণ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এদিকে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনুা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।


স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সুসজ্জিত করা হয় জাতীয় পুাকায়। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিু ও বেসরকারি ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পুাকা। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনেও স্বাধীনুা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সড়কে অলঙ্করণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে উৎসবমুখর পরিবেশে।


দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা ও নিবন্ধ প্রকাশ করে।


বিকেলে বঙ্গভবনে বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ আমন্ত্রিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর মিলনমেলায় পরিণত হয়। এছাড়া সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরের মতো এবারও মোহাম্মদপুরে শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন।
এদিকে বিকেলে গণভবনে একটি স্মারক ডাকটিকিট এবং ডাক অধিদফতরের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।