Bangladesh
India ready to help Bangladesh tackle calamities, says outgoing High Commissioner Riva Ganguly Das
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার পরস্পর জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এরপর রীভা গাঙ্গুলি দাশ শোকের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎবরণকারী সবার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। চলমান করোনা মহামারি ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। উভয় দেশেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং তার পরবর্তী কর্মজীবনের সফলতা কামনা করেন।
এদিকে জায়গা সঙ্কটে বেনাপোল স্থলবন্দরে পণ্যজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একটি ট্রাক ভারত থেকে প্রবেশ করে পণ্য খালাস করার পর আরেকটি প্রবেশ করছে। আবার অনেকে দীর্ঘদিন বসে থাকার কারণে পণ্য নিয়ে আসতে চাচ্ছেন না।
বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বন্দর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শুধুমাত্র জুলাই মাসে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন পণ্য ও চলতি আগস্ট মাসের ১০ দিনে ৪৩ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। যে কারণে বন্দরে পণ্য রাখার জায়গা নেই।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। এ কারণে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর অনুপযোগী হতে চলেছে। এখানে পণ্যজট অসহনীয়। বন্দরে ট্রাকজটও পীড়াদায়ক। আর পণ্য লোড-আনলোডের জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম নেই এখানে।
বেনাপোল স্থলবন্দরে আসা পণ্য লোড-আনলোডের জন্য মাত্র ছয়টি ক্রেন ও পাঁচটি ফর্কলিফট রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি অচল অবস্থায় থাকে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। অচল সরঞ্জাম দিয়ে বেসরকারি একটি সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। যার মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে টেন্ডার দিচ্ছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ।