Bangladesh

India taking less amount of water: Kader

India taking less amount of water: Kader

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 05 Nov 2019, 06:46 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ৫ : বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপ-নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘দু-দেশের সম্পর্ক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ভালো থাকলেও মানুষে মানুষে এখনও দূরত্ব রয়ে গেছে।

ফেনী নদীর পানি, তিস্তা চুক্তি ও এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে বিরূপ মনোভাব রয়েছে। এ দূরত্ব কমিয়ে আনা দরকার। মানুষে মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’ সোমবার রাজধানীর শান্তিনগরের হোয়াইট হাউজ রেস্টুরেন্টে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে ভারতের যে সমস্যা ছিল তা মিটে গেছে। তাদের নির্মূল করা হয়েছে। এখন দু-দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ফেনী নদীর পানি ভারত নিলে এ দেশের মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আসলে দেখা গেছে, তারা পানি নিচ্ছে খুবই কম পরিমাণ। আবার এনআরসি নিয়েও বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এনআরসি আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করেনি। ভারত আমাদের তিস্তা নদীর ন্যয্য হিস্যা দিচ্ছে না। এটা নিয়েও জনমনে ক্ষোভ রয়েছে। এভাবে মানুষে মানুষে যে মানসিক দূরত্ব রয়েছে, তা দূর করা প্রয়োজন। এক দেশ আরেক দেশের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে। সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় করতে হবে।


অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার স্পিকার রেবতি মোহন দাস বলেন, ত্রিপুরার ৮০ ভাগ সীমান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক মানুষ ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। এবার বাংলাদেশে এসে আমরাও দলমত নির্বিশেষে আথিতেয়তা পেয়েছি। বাংলাদেশ আমাদের সৎ প্রতিবেশী। আমাদের বন্ধন আত্মীয়তার।


তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অনুপ চেটিয়াসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নির্মূল করেছে। এতে আমাদের সমস্যা দূরীভূত হয়েছে। এখন ফেনী নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করায় দু-দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। এ সম্পর্ক আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আগামীতেও যেকোনো প্রয়োজনে আমরা একে অপরের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দেব।


সভাপতির বক্তৃতায় সৈয়দ আবু হাসেন বাবলা বলেন, দু-দেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অনেক সহায়তা করেছে। আমরাও ভারতকে অনেক কিছু দিয়েছি। আমরা একে অপরের পরিপূরক। আমরা যেভাবে ভারতের সহায়তায় এগিয়ে এসেছি, তাদেরও সেভাবে এগিয়ে আসা উচিত। আমরা তিস্তার পানি পাওয়ার আশা করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা ভারতের চেয়েও অনেক ভালো পরিবেশে রয়েছে। এখানে হিন্দুদের সংখ্যালঘু হিসেবে দেখা হয় না, আমাদের সম্পর্ক ভাইয়ের মতো।


ত্রিপুরা রাজ্যের স্পিকার রেবতি মোহন দাসসহ ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সার্ক কালাচারাল সোসাইটির পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।