Bangladesh

Indian developing Bangladesh in developing its river transport

Indian developing Bangladesh in developing its river transport

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 28 Jun 2019, 07:57 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ২৮ : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভারত নৌপথ উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে।

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নৌ, স্থল, আকাশ ও রেলপথসহ সবরুটে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই নৌপথে যাতায়াতের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে একটি ক্রুজ ভারতে গেছে। অপরদিকে ভারতের পক্ষ থেকেও একটি বাংলাদেশে এসেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইন্ডিয়ান মিডিয়া করসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত নৌ যোগাযোগ : সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক ডায়ালগে তিনি এসব কথা বলেন।


ইমক্যাব সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ইশান্ত শুভ পন্ডিত, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির উপদেষ্টা নকিব আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ওমর ফারুক প্রমুখ।


খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারত বাংলাদেশর অকৃত্রিম বন্ধু দেশ- যা রক্ত দিয়ে লেখা। অনেকে বন্ধু রাষ্ট্র দুটির সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বৈধপন্থায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য চলমান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় ভিসা সেন্টার চালু হয়েছে।

সহজেই যে কেউ ভিসা নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ নানা প্রয়োজনে ভারতে যাতায়াত করতে পারছে। ভারত নৌপথ উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। গোমতি দিয়ে কিভাবে আসাম বা ত্রিপুরা যাওয়া যায়, সেভাবেই নৌপথ উন্নয়ন করা হবে।


নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নদীগুলো সুরক্ষায় কাজ করছি। নদীপথে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে শৃংখলার মধ্যে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। ৬৪ জেলায় নদী রক্ষায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসারদের একাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা নদী মাতৃক বাংলাদেশের আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবো।


খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম নদী রক্ষার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। গণমাধ্যমের সহযোগিতায় নদী রক্ষার জন্য আমরা সচেতনতা তৈরী করতে পেরেছি।


ধারণাপত্রে নৌপরিবহন ব্যবস্থা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ- ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে ও স্থল বন্দরের উপর চাপ কমাতে নৌপথের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে উভয় দেশের নৌবাণিজ্য বাড়াতে হবে। তবে এক্ষেত্রে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টন ইস্যুর সমাধান হওয়া জরুরী। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারে।