Bangladesh

Indian loan to help Mongla port

Indian loan to help Mongla port

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 26 Jun 2018, 01:47 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ২৬ : মংলা বন্দরের উন্নয়নে ৬ হাজার ২৫৬ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেবে ভারত সরকার।

চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে ভারতের এই ঋণ সহায়তায় দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলায় শুরু হবে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প।

 

২০২২ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছরের পুরনো দাবি পূরণ হবে, প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হবে এই বন্দরে। গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দেশটি তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশের জন্য যে সাড়ে চারশ’ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি করে, সেখান থেকে বাগেরহাটের মংলা বন্দরের একগুচ্ছ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেয়া হচ্ছে ৬ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।

 


মংলা বন্দর সূত্র জানায়, ভারতের দেয়া ঋণের টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের মধ্যে থাকছে, মংলা বন্দর জেটিতে ১ ও ২নং কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইয়ার্ড নির্মাণ, কন্টেইনার ডেলিভেরি ইয়ার্ড নির্মাণ, ইয়ার্ড শেড নির্মাণ, নিরাপত্তা দেয়াল অটোমেশন ও অন্যান্য অবকাঠামোসহ বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ, সার্ভিস ভেসেল জেটি শেড ও অফিস নির্মাণ, বন্দর প্রশাসনিক ভবন সম্প্রসারণ, এমপিএ টাওয়ার, পোর্ট রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্স কমিউনিটি সুবিধাদি নির্মাণ, ইকুইপমেন্ট ইয়ার্ড, ইকুইপমেন্ট শেড ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ এমটি পুল নির্মাণ, সিগনাল রেড ক্রসিং ও ওভারপাস নির্মাণ, বিনোদন ব্যবস্থাসহ বাঁধ নির্মাণ এবং ৫টি হারবার ক্রাফট ক্রয়।

 


বিএনপি সরকারের আমলে মৃতপ্রায় মংলা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক নির্দেশনায় শুধু সচলই হয়নি বন্দরটি এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

 

পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে কম দূরত্বের এই বন্দরের উপর আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের চাপ বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

বর্তমানে মংলা বন্দরে যে অবকাঠামো সুবিধা আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়।

 

এই বাস্তবতায় দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের দ্বিতীয় লাইফ লাইন মংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আধুনিকায়নে ভারতের কাছ থেকে ৬ হাজার ২৫৬ কোটি টাকার ঋণ সহায়তায় সরকার একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

 

২০২২ সালের জুনের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের আধুনিক সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে।