Bangladesh
Indian Navy chief meets Sheikh Hasina
বৈঠককালে উপকূলীয় নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ভারতীয় নৌ প্রধানকে বলেন, উপকূলীয় নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনী অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে।
জবাবে এডমিরাল লনবা বলেন, ‘দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে এবং আমরা একে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’
তিনি এ সময় দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বেশ কিছু ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে সমস্যা শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করে সুনীল লনবা একে দুই দেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্বের উজ্জ্বল নিদর্শন’ বলে অভিহিত করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা। ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সহযোগিতা বিদ্যমান থাকলে অনেক কিছুই করতে পারে এই দু’দেশ।’ বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ পর অনেক রেলপথ, নৌপথ এবং সড়কপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো পুনরায় খোলা হয়েছে এবং আরও বেশ কিছু পুনরায় চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।
পরে ভারতের নৌবাহিনী প্রধান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সংগে সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে ভারতের নৌবাহিনী প্রধান সুনীল লনবা ছয় দিনের শুভেচ্ছা সফরে রোববার ঢাকায় আসেন