Bangladesh

Instruction given to keep a watch on those going abroad for training

Instruction given to keep a watch on those going abroad for training

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 20 Dec 2019, 12:01 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি ঢাকা, ডিসেম্বর ২০ : বিদেশগামীদের সঠিক ট্রেনিং দেয়া হয়ছে কি না, এ জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদেশগামী লোকদের জন্য ট্রেনিং ও ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে লোক পাঠানো হলে তাদের আলাদা গুরুত্ব থাকে। নারীরা উপযুক্ত ট্রেনিং নিয়ে না গেলে নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়।

তবে দল বদল করে হুজি ছেড়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে সক্রিয় হন। অনলাইনে কম্পিউটারের সামগ্রী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের ব্যবসার আড়ালে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে সক্রিয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। সর্বশেষ র‌্যাবের অভিযানে রাজধানীর শাহআলী থানাধীন রাইনখােলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে আরও তিন জঙ্গিসহ গ্রেফতার হন তিনি। বাকিরা হলেন- মেহেদী হাসান শাকিল ওরফে বাবু (২০), আব্দুল আল মামুন ওরফে আসাদুল্লাহ হিল গালিব (১৮) এবং নাজমুল হাসান (২৯)।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওই নির্দেশ দিয়ে এসব কথা বলেন।

বক্তব্য শেষে প্রবাসী মেলার উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষ হলে দেশে-বিদেশে দুই জায়গাতেই কাজের সুযোগ রয়ছে। আমরা সারাদেশে ১০০টি শিল্পাঞ্চল করছি। এ সমস্ত শিল্পাঞ্চলেও দক্ষ জনগণের প্রয়াজন হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা যাতে সঠিক পথে অর্থ প্রেরণ করে, আমরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ছি। তারা সঠিক চ্যানেলে অর্থাৎ কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাথ্যমে টাকা পাঠালে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেয়া হয়। এ জন্য এবারের বাজেটে আমরা ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি।


তিনি বলেন, শ্রমবাজার আরও যাতে সম্প্রসারিত হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি আলাদা সেল গঠন করেছে। কোন দেশে লোকের প্রয়াজন এবং সেখানে আমাদের কর্মীরা কীভাবে যাবে, কী কাজ করবে, এসব বিষয় খোঁজ-খবর রাখছে। বিদেশগামী কর্মীরা যাতে কোনোরকম ধোঁকার মুখে না পড়ে, সে বিষয়টিও এই সেল দেখবে।


‘দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য আমরা ট্রেনিংয়ের ওপরেও খুব গুরুত্ব দিয়ছি। তারা যেন উপযুক্ত ট্রেনিং পায় এবং যে দেশে যাবে, সে দেশের ভাষা সম্পর্কে তাদের যেন জ্ঞান থাকে। এ বিষয়ে ৯টা ভাষা দিয় একটি অ্যাপ তৈরি করে দেয়া হয়ছে। এই অ্যাপ থেকে তারা ভাষা শিখতে পারবে। দেশের ৬৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৫৫টি ট্রেডে তাদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীরা উপযুক্ত ট্রেনিং নিয়ে না গেলে নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়।

সারা বাংলাদেশে ৫,২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার করা হয়ছে। এ ছাড়া ৮ হাজার পোস্ট অফিস রয়েছে, সেখানেও ডিজিটাল সেন্টার হয় গেছে। এই ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বিদেশগামীরা আবেদন করতে পারে এবং নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সেখান থেকে বেছে বেছে লোক নিয় ট্রেনিং দিয় তাদের বিদেশে পাঠাতে পারবে।তাদের কাছ থেকে জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই, লিফলেটসহ উগ্রবাদী ডিজিটাল কনটেন্ট, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সার্কিট, ডিভাইস, ব্যাটারি ও মােবাইল উদ্ধার করা হয়।


র‌্যাবের দাবি, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি অনলাইনে জঙ্গিবাদে রিক্রুটমেন্টের কাজ করে আসছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।


তিনি বলেন, গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপক্ষে, তাদের মতে এই ব্যবস্থা তাগুতি বা বাতিল। তারা এই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করে তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।


তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোহাম্মদ আরিফুল করিম চৌধুরীর বাড়ি চাঁদপুরে।

তিনি কম্পিউটার সায়েন্সে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা শেষ করে পূবালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এসময় তিনি হরকাতুল জিহাদে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়ে ২৩ মাস জেলখাটার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। ব্যাংক থেকে তিনি বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেন এবং ঢাকা অঞ্চলের একাংশের শীর্ষ স্থানীয় পদ লাভ করেন। ফেসবুকের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা আব্বাস উদ্দিন শুকুর আলীর (২২) সাথে পরিচয় হয় এবং তার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমে আরাও তৎপর হন। সে জঙ্গি সংগঠনে বিভিন্নভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছিল। কুমিল্লা অঞ্চলের শীর্ষ স্থানীয় জঙ্গি শুকুর আলী ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয় জেল হাজতে আছে।