Bangladesh
International court may hear Rohingya mass murder case
অন্যদিকে, ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যা মামলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মিয়ানমারকে দোষী সাব্যস্ত করতে আশাবাদী গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী। রোহিঙ্গা নির্যাতনের অভিযোগে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষকে যাতে শাস্তি দেয়া না হয় সে আহ্বান জানিয়েছেন ইয়াঙ্গুনের আর্চ বিশপ।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বর্ণনা শুনে স্তম্ভিত হন গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর তাম্বাদু। সিদ্ধান্ত নেন রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করার। এরই প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের আনুষ্ঠানিক তদন্তে ওআইসির কাছে একটি প্রস্তাব দেন তিনি। পরবর্তীতে চলতি বছরের নভেম্বরে ওআইসি’র সহযোগিতায় জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেন গাম্বিয়ার এই আইনজীবী।
গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর তাম্বাদু বলেন, রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ নেই, তাই আমার দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গা থেকে মামলাটি করেছি। কোন জাতি যখন তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার কোন সুযোগ পায় না তখন কেমন লাগে তা আমরা বুঝতে পারি।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের সব অভিযোগ ইতোমধ্যে অস্বীকার করেছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। হেগের আদালতে মামলা লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আগামী ১০ থেকে ১২ই ডিসেম্বরের শুনানির জন্য গঠন করা হয়েছে কমিটিও। সু চির সবশেষ পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউরোপ সফর ভোজ আয়োজন ও গণতন্ত্রের কা-ারির মধ্য দিয়ে হলেও এবার তিনি যাচ্ছেন গণহত্যার অভিযোগ মাথায় নিয়ে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার ঘনিষ্ঠদের বরাতে গণমাধ্যম বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ নেয়ার মধ্য দিয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন সু চি। বিশ্ববাসীর কাছে তার ভাবমূর্তি আরও ক্ষুন্ন হবে বলেও মত তাদের।
এদিকে, রোহিঙ্গা নির্যাতনের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেবিষয়ে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ইয়াঙ্গুনের আর্চবিশপ কার্ডিনাল চার্লস বো।