Bangladesh

জালিয়াতির জায়গা নেই বাংলাদেশে, চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তাই প্রমান করল

জালিয়াতির জায়গা নেই বাংলাদেশে, চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তাই প্রমান করল

| | 21 Jan 2018, 08:34 am
ঢাকা, জানুয়ারি ২০ঃ বাংলাদেশের মাটিতে কিছুতেই ঘুষ বা জালিয়াতি এখনকার সরকার করতে দেবেন না।

কিছু ঘটনা এই বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে দিয়েছে।

 

কাজ পাওয়ার পরও 'চুরি করার' উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ সেধেছিল চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং ও তারপরে এই বিষয়টি সচিব মন্ত্রীদের জানালে তারপরেই এই কোম্পানিকে 'কালো তালিকাভুক্ত' করে দিয়েছে সরকার।

 

এই বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

 

এই ঘটনা আরেকবার পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বাংলাদেশের সরকার এইধরণের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয়না।

 

মুহিত সাংবাদিকদের এই বিষয় জানানঃ "'চায়না হার্বার যোগাযোগ সচিবকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিল। সচিব বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। এ জন্য কম্পানিটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশে আর কোনো কাজ করতে পারবে না।"

 

সার্ভিস লাইনসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে দুই বছর আগে চীনা কম্পানিটির সাথে বাংলাদেশ সরকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

 

মুহিত আরও বলেন এই ঘটনার পরে চীন ওই প্রকল্পে আর অর্থায়ন করবে না।

 

নিজস্ব অর্থায়নেই এই প্রকল্প এখন বাস্তবায়ন করা হবে।

 

এই কোম্পানি আর কোনও কাজ করতে পারবে কি না সেই বিষয় পরিষ্কার করে মুহিত বলেনঃ "সেটা দেখা যাক, কী করা যায়। সাধারণ নিয়ম হলো, কালো তালিকাভুক্ত মানেই কালো তালিকাভুক্ত।"

 

বাংলাদেশের এই তরুণ সচিব যে এই বিষয়টি সামনে এনেহে তাঁকে নিয়ে গর্বিত সরকার।

 

মুহিত বলেনঃ "আমি ওই সচিবকে নিয়ে গর্ববোধ করি।"

 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেও বলেছেন যে এই ঘটনার ফলে প্রকল্পের আগামী দিনগুলিতে কিভাবে রুপায়ন করা হবে তা নিয়ে চিন্তা করবার কিছু নেই।

 


বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে কাদের দেশের মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “যারা বেশি বিনিয়োগ করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্ট্রেসফুল করা সমীচীন হবে না। একটা কোম্পানির জন্য সে দেশের সব কোম্পানিকে খারাপ বলতে পারি না। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নাই।”

 

শুধু কি এই একটি ঘটনা।

 

দেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নিজেও এই স্মস্য বিষয়ের বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ থাকতে আহ্বান করেছেন।

 

শনিবার রাষ্ট্রপতি মৎস্য ও পশু খাদ্যের মান নিয়ে আজকাল মাঝে মধ্যে যে  প্রশ্ন ওঠে তা উল্লেখ করে ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য যাতে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন।

 

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উনি বলেনঃ "“প্রাণিজাত আমিষের বেশীরভাগই পূরণ হয় চাষের মাছ-মাংস দিয়ে।  আমাদের ছেলেমেয়েরা এসব খেয়ে বড় হচ্ছে। তাই ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য যাতে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

 

উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ও মানুষকে আরও ভালো জীবন দিতে দেশের নেতারা সব সময় ব্যস্ত।

 

এই ঘটনাগুলি তাই প্রমান করেছে।